বিক্রি হবে চিড়িয়াখানার অতিরিক্ত হরিণ-ময়ূর

করোনা সংক্রমণ বেরে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিলো জাতীয় চিড়িয়াখানা। এর ফলে প্রায় পাঁচ মাস চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ ছিলো না। এতে চিড়িয়াখানার প্রাণিকূলের প্রজনন ক্ষমতাও বেড়ে যায়। ফলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রথমে হরিণ ও নীল ময়ূর বিক্রি করবে কর্তৃপক্ষ।

ধারণ ক্ষমতার বেশি হওয়ায় উদ্বৃত্ত হরিণ ও ময়ূর বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। তবে উদ্বৃত্ত পশু-পাখি রংপুর চিড়িয়াখানাসহ অন্যান্য চিড়িয়াখানায়ও দেয়া হচ্ছে। আর কিছু পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে।

চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আবদুল লতিফ গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার বিক্রির অনুমতি দিয়েছে, তাই হরিণ ও ময়ূর বিক্রি করা হবে। করোনা মহামারির এ সময়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চিড়িয়াখানা বন্ধ ছিল দীর্ঘ সময়। নিরিবিলি পরিবেশ পেয়ে অনেক পশু-পাখির বাচ্চা আমরা পেয়েছি। অতিরিক্ত পশু-পাখি সংকুলান করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে, তাই আমাদের বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণ করতে হচ্ছে।

এক জোড়া হরিণ কিনতে চিড়িয়াখানাকে দিতে হবে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর এক জোড়া ময়ূর কিনতে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা।

কীভাবে কেনা যাবে হরিণ আর ময়ূর- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. আবদুল লতিফ বলেন, কেউ কিনতে আগ্রহী হলে আমাদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  আমরা আগ্রহী ব্যক্তিকে একটি সম্মতিপত্র দেবো। সেই সম্মতিপত্র নেয়ার পর তিনি বন বিভাগের কাছ থেকে পজিশন সার্টিফিকেটের আবেদন করবেন। বন বিভাগ হরিণ বা ময়ূর পালনের জায়গা, সক্ষমতা এসব বিষয়ে তথ্য নিয়ে তাকে অনুমতি দেবে। বন বিভাগের কাছে থেকে অনুমতি পেলে, সেই ব্যক্তির কাছে হরিণ বা ময়ূর বিক্রি করবো।


কোনো অবস্থায় হরিণ জবাই করে খাওয়া যাবে না। বিক্রি করা এসব হরিণ ও ময়ূর লালন-পালনে সহায়তা করবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। কোনো সহায়তা লাগলে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রাণিসম্পদ অফিস সহায়তা করবে।’

উন্মুক্ত করা প্রসঙ্গে ডা. মো. আবদুল লতিফ বলেন, হরিণ ও ময়ূরের চাহিদা আছে, তাই বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বিক্রি না হলে আমরা সুন্দরবন, সাফারি পার্কেও দিতে পারি।

তবে এখন ময়ূর ডিম পাড়ার সময় হওয়ায় আবেদন থাকলেও বিক্রি করা হচ্ছে না বলে জানান মো. আবদুল লতিফ। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //