এএসপি হত্যা

মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক গ্রেফতার

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া আদাবরে অবস্থিত হাসপাতালটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর নিউরো সাইন্স হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেফতার এই চিকিৎসক মাইন্ড এইড হাসপাতালের একজন পরিচালক। অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তিনি নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে  গতকাল সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এসপি আনিসুল করিম শিপনকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আজ সকালে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।

পুলিশ জানায়, ভর্তি করানোর কয়েক মিনিট পরই তাকে অচেতন অবস্থায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর সেখান থেকে তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) গ্রেফতার ১০ জনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক মোল্লা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডের আসামিরা হলেন- হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কথিত ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম ও শেফ মো. মাসুদ।

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, মৃত আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক।

হাসপাতাল থেকে সিসি ক্যামেরার উদ্ধার করা ফুটেজে দেখা গেছে, আনিসুলকে সাতজন ধরে টেনে-হেচড়ে একটি কক্ষে ঢুকাচ্ছে। এরপর তাকে ফেলে তিনজন তার পিঠের উপরে, দুইজন পায়ের ওপরে ও দুইজন হাত ধরে বেঁধে ফেলে। দুইজন কুনুই দিয়ে তার পিঠ ও ঘাড়ে আঘাত করছে। মারধরের কয়েক সেকেন্ড পর অচেতন হয়ে পড়ে আনিসুল। তারপর তার মুখে পানি ছেটানো হয়, এই সময় মেঝেতে পানি দিয়ে কিছু একটা মুছতেও দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পর অ্যাপ্রন পরা দুই নারীকে তার বুকে পাঞ্চ করতে দেখা যায়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //