বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন বন্ধের দীর্ঘ এক মাস পরেও চালু হয়নি। হল চালু থাকলেও ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হলটির পাঁচ শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধের দীর্ঘ এক মাস পার হলেও হল ক্যান্টিন চালু করতে পারেননি হল কর্তৃপক্ষ। নিরুপায় হয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ভোলা রোডের দোকানগুলোতে অতিরিক্ত দামে খাবার খেতে হচ্ছে।
হল সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন পরিচালক ক্যান্টিন ছেড়ে দেন গত ৩১ মার্চ। তখন হল প্রভোস্ট বলেছিলেন কয়েকদিন পরই বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের ছুটিতে যাচ্ছে, ঈদের পর ক্যান্টিন চালু করা হবে। কিন্তু ঈদের পর গত ২১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলেও হল ক্যান্টিন এখনো পর্যন্ত চালু করতে পারেননি হল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হল প্রভোস্ট ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় সভা করেছেন ক্যান্টিনের বিষয়ে।
১০ জনের অধিক বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোজার মধ্যে হঠাৎ হল ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যায় তখন বেশ ভোগান্তিতে পড়েছিলেন তারা। ঈদের ছুটির পরে ক্যাম্পাস চালু হয়েছে ১৫ দিন এতদিনেও হল কর্তৃপক্ষ ক্যান্টিনটি চালু করতে পারেননি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই তীব্র গরমে খাবারের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের দোকানগুলোতে। বাইরের দোকানে খাবারের দাম এমনিই বেশি তারপরও বাধ্য হয়েই বাইরের দোকানগুলোতে খাবার খাচ্ছেন তারা৷
বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান বলেন, হল ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় আমাদের খাবার খেতে বেশ ভোগান্তি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দাম দিয়ে এই দাবদাহ উপেক্ষা করে বাইরের দোকানগুলোতে খাবার কেতে হচ্ছে। আশা করব অতি দ্রুত হল প্রশাসন এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাদের ভোগান্তি দূর করবেন।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মো. আরিফ হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে মতবিনিময় সভা করেছি। আশা করছি এই সপ্তাহের মধ্য ক্যান্টিন চালু করতে পারব আমরা।
এর আগে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলগুলো বন্ধ হওয়ার আগেই বন্ধ করে দেয়া হয় হল ক্যান্টিন। এতে রমজানে খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
হল ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় তখনও বাইরের দোকানগুলোতে চড়া মূল্যে খাবার খেতে হয়েছে বলে জানান তারা।
নোটিশ অনুযায়ী, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৫ এপ্রিল বন্ধ করার কথা ছিল আবাসিক হলগুলো, কিন্তু এর আগেই ৩১ মার্চ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ছাত্র হল বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিন বন্ধ করা হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh