সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পূর্বের অডিও ভাইরাল নিয়ে তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে গত রবিবার (১৪ মে) রেজিস্ট্রারের আরেকটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে পূর্বে ভাইরাল হওয়া অডিও ফাঁসের বিষয়ে তিনি আক্ষেপ করেছেন। এমনকি ভাইরাল হওয়া অডিওর কারণে একাধিকভাবে চাপে পড়ার কথা জানাচ্ছিলেন তিনি। সেই সাথে নিজেকে বাঁচাতে বিকল্প কিছু করার কথা বলতে শোনা যায়।
চাঞ্চল্যকর এই অডিও নিয়ে আবারও ক্যাম্পাসে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এদিকে তার একাধিক অডিওর বিষয়ে এখনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত রবিবার ৪ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের একটি অডিও ফাঁস হয় রেজিস্ট্রারের। যেখানে তার পূর্বে ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে নিজেকে আক্ষেপ করতে শোনা যায়।
অডিওতে তিনি বলেন, ‘আমার ওই অডিও তো ভাইরাল কইরা দিছে, আমার তো বাঁচতে হবে। তিন-চার জায়গা থেকে রাতে ফোন দিয়েছে। আর সাংবাদিকদের কে বলেছে যে আমি মাইশা আর আসিফের নাম না দিতে বলেছি। আমি বললাম যে আমি বলি নাই এবং আমার সাথে কারো কথা হয় নাই। তোমাকে ভুল ধারণা দিয়েছে। কোনো শালার কাছেই বলি নাই।’
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দীন মো. তারেক ও উপাচার্যের সদ্য অব্যাহতি পাওয়া পিএস আয়ূব আলীকে কথা বলতে শোনা যায়। এদিকে আয়ূবের কথায় উঠে আসেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামও।
ফাঁস হওয়া সকল অডিও প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এদিকে প্রথম অডিও ফাঁসের পর ক্যাম্পাসে সমালোচনা সৃষ্টি হলে বিষয়টি তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে কমিটি করার দুই মাস পার হলেও এখনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি দায়িত্বরতরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম জানান, কিছুদিন ক্যাম্পাসের বাহিরে থাকার কারণে প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হয়েছে। কাজ অনেকটা শেষ। সবকিছু ঠিক থাকলে কালকের মধ্যে জমা দিতে পারবো।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা সবাই বিষয়টি এড়িয়ে যান।
প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘আমি এখনো এমন কিছু শুনিনি। আর এ ধরনের কথা তো কোনোদিন কোথাও বলেছি বলে মনে হয় না।’ রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘এডিটিংয়ের মাধ্যমে এসব ছড়ানো হচ্ছে। বিষয়গুলো বিব্রতকর। যারা এই চেয়ারে (রেজিস্ট্রার) আসতে চান তারা এসব করছে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে সে আলোকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh