সড়কে চলবে দেশে তৈরি প্রথম ই-বাইক

দেশের সড়কে চলাচলের জন্য বিআরটিএর অনুমোদন পেয়েছে ওয়ালটনের নির্মাণ করা পরিবেশ বান্ধব ই-বাইক। জ্বালানি চালিত মোটরবাইকের মতোই দেশের সড়ক-মহাসড়কে এই বাইক চালানো যাবে।

ওয়ালটনের ই-বাইক বিআরটিএ-তে কম খরচে দুই থেকে দশ বছরের জন্য নিবন্ধন পাবে।

গত সপ্তাহে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে জানান, কোম্পানিটি ওয়ালটনের লোগোসহ তাকিওন ব্র্যান্ড নামে দেশীয় বাজারে ই-বাইক বাজারজাত করছে।

পরিবেশ বান্ধব ই-বাইকটি ১২৭,৭৫০ টাকায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন শোরুমের পাশাপাশি ওয়ালটন ডিজি-অনলাইন টেকের বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনা যাবে।

অতিরিক্ত দাম ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতার বিষয়ে ভাবনা জানতে চাইলে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চিফ বিজনেস অফিসার তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, আমাদের বাইকগুলো বিআরটিএ অনুমোদিত ও গ্রাহকরা লাইসেন্স পাওয়ার পর সবখানে এই বাইক চালানোর সুযোগ পাবেন। বাইকগুলো খুবই সাশ্রয়ী, সহজে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম হবে। এছাড়া দেশব্যাপী আমাদের সেবা কেন্দ্র থেকে সেবা দেওয়া হবে। এই বাইকগুলো স্টাইলিশ ও বিভিন্ন রঙে বাজারে এসেছে। আমরা নিশ্চিত ওয়ালটন ই-বাইক অন্যান্য প্রচলিত বাইকের সাথে প্রতিযোগিতা করবে ও গ্রাহকরা এটি পছন্দ করবেন।

বর্তমানে তাকিওন ১.০০ মডেলের ইলেকট্রিক বাইক বাজারে ছাড়া হয়েছে। লাল, নীল এবং ধূসর রঙের সাশ্রয়ী বাইকটির দাম মাত্র ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৫০ টাকা।

প্রচলিত বাইক ছেড়ে ই-বাইক কেনো কিনবেন?

সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও পেট্রোলিয়াম বাজারের অনিশ্চয়তার কারণে বেশিরভাগ যানবাহন মালিকরা এখন সস্তা পরিবহনের উপায় বেছে নিচ্ছেন। কারণ মূল্যবৃদ্ধি বেশিরভাগ মানুষকে হিমশিমে ফেলেছে।

ই-বাইক এই ক্ষেত্রে অনেক সমাধান দিতে পারে। কারণ বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেলে প্রতি কিলোমিটারের জন্য শুধুমাত্র ১০-১৫ পয়সার বিদ্যুৎ খরচ হবে। যেখানে জ্বালানি-চালিত বাইকে প্রতি কিলোমিটারে ২টাকা বা তার বেশি খরচ হয়।

১০০ সিসির জ্বালানি-চালিত বাইকে প্রতি লিটার জ্বালানিতে ৫০-৬০ কিলোমিটার যাওয়া যায়। যেখানে একটি বৈদ্যুতিক বাইক একক চার্জে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।

এছাড়া জ্বালানি চালিত মোটরসাইকেল রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় খবই কম ও সহজ।

জ্বালানি চালিত বাইকের বিপরীতে ই-বাইক শব্দ বা পরিবেশ দূষণ করে না।

জ্বালানী নির্ভর বাইকগুলোতে ম্যানুয়াল ক্লাচ গিয়ার রয়েছে, যা অনেকের জন্যই পরিচালনা বেশ কঠিন। তবে ওয়ালটনের ই-বাইক স্বয়ংক্রিয়। শেখাও সহজ।

তবে অনেকেই চিন্তায় থাকেন ব্যাটারির টেকসই নিয়ে। এই ব্যাটারি পরিবর্তন করতে গেলে যে খরচ সেটি ব্যয়বহুল কি না এই চিন্তায় থাকেন অনেকেই।

এ বিষয়ে তৌহিদুর রহমান রাদ বলেন, গ্রাফিন-ভিত্তিক ব্যাটারি প্যাকটিতে ছয়টি ব্যাটারি সেল থাকে একটি ব্যাটারি সেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে গ্রাহকরা আমাদের পরিষেবা কেন্দ্র থেকে সেই নির্দিষ্ট ব্যাটারি সেলটি পরিবর্তন করতে পারেন। আমাদের কাছে ব্যাটারি এবং অন্যান্য খুচরা যন্ত্রাংশ রয়েছে এবং গ্রাহকরা ন্যূনতম খরচে যেকোনো যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন উপভোগ করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, এই বাইকগুলো রিচার্জ করাও সহজ। ওয়ালটন ই-বাইকগুলো যে কোনো প্রচলিত পাওয়ার পোর্ট থেকে চার্জ করা যেতে পারে। ফিস, বাড়ি এবং গ্যারেজে ব্যবহৃত যে কোনো ২২০ ভোল্ট পাওয়ার লাইন থেকে চার্জ করা যাবে।

একটি স্থিতিশীল সংযোগ পেলে বাইকগুলোকে সম্পূর্ণরূপে চার্জ করতে সাধারণত ছয় থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //