বাজেট ভাবনা

গুরুত্ব দেওয়া দরকার করোনায় পর্যদস্ত মানুষকে

বাজেটের শাব্দিক অর্থ- কোনো রাষ্ট্রের সম্ভাব্য বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব। প্রতি বছর জুন মাসকে অর্থবছর ধরে জাতীয় বাজেট প্রণিত হয়। বাজেট পেশের নতুনত্ব হলো প্রতি বছরই বাজেটের গা-গতরে পরিধি বাড়ে। আর প্রতি বছরই পুরনো প্রতিশ্রুতিগুলো নবায়ন করে নতুন করে পেশ করা হয়। 

তা বাদে অর্থমন্ত্রী একটা কালো ব্রিফকেস হাতে সংসদে দাঁড়িয়ে নাতিদীর্ঘ বক্তব্য দিয়ে জাতীয় বাজেট পেশ করেন। সরকারি দল সমস্বরে সেই বাজেটকে সমর্থন করে। বিরোধী দল ‘এ বাজেট গণবিরোধী’ বলে মৃদু প্রতিবাদ জানায়। যেহেতু সংসদে ‘কার্যত কোনো বিরোধী দল নেই’, তাই মৃদু কেন মোলায়েম প্রতিবাদও হয় না। এবারও হবে না। 

তবে বাজেটের সবচেয়ে কৌতুককর দিক হলো বাজেট পেশের পর দিনই সব পত্র-পত্রিকায় হুমড়ি খেয়ে দেখতে চায়- কোন কোন পণ্যের দাম বাড়ল-কমল!

এই শাব্দিক অর্থ বাদ দিলে বাজেটের আসল অর্থ-জনসাধারণের কাছ থেকে কোন কোন খাতে কত টাকা ট্যাক্স-কর-ভ্যাট-আবগারি-স্থানীয় কর হিসেবে আদায় করা হবে, তার আগাম পরিকল্পনা। কার্যত বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে দেশের উন্নতি-অবনতি কোনোকিছুই প্রতিফলিত হয় না। এই নেই নেই-এর কেত্তনেও দেখা যায় অত হাজার কোটি উন্নয়ন বাজেট অব্যবহৃত! 

এবার আসছে ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট। অর্থাৎ দেশের বৃহত্তম বাজেট পরিকল্পনা। কী থাকছে সেই বাজেটে? বলা হচ্ছে, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির উচ্চহার দেখানো থেকে শেষ পর্যন্ত সরে আসছে সরকার। চলতি বাজেটে আগের বার দেখানো জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হবে। তবে সেটাকে উল্লম্ফন বলা যাবে না; কারণ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোও (বিবিএস) সাময়িক হিসাব দিয়ে জানিয়েছিল, এই হার ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হতে পারে।

যদিও অনেকেই বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৪ বা ৪ শতাংশের খানিক বেশির কথা বলা হতে পারে। মূল বাজেটে যা ধরা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ! তার মানে এবারো বাড়িয়ে যা বলা হবে মূল জিডিপি তার ধারে কাছেও থাকবে না। উপলক্ষ হিসেবে দেখানো হবে, করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি, উৎপাদনের চাকা না ঘোরা, নিম্ন আয়ের মানুষ জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম ভোগান্তি, রফতানি আয় কমে যাওয়া, আমদানি হ্রাস পাওয়া, মূল বৈদেশিক আয় তথা রেমিট্যান্স আয় ছাড়া অর্থনীতির সব সূচকই নেতিবাচক। তাই ধরে নেওয়া যায়, এসব অজুহাত টেকসই বটে।

এখন ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগেই দেশি-বিদেশি সব সংস্থা ও গবেষকদের কাছ থেকে বেশ কিছু বাস্তবমুখী পরামর্শ এসেছিল; কিন্তু সবকিছু এড়িয়ে সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। যদিও পরে লক্ষ্যমাত্রা এক দফা কমিয়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়েছিল। 

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সরকার নতুন বাজেটের আকার ৬ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ধরে এগোচ্ছে, যা শেষ মুহূর্তে কিছু বাড়তে-কমতে পারে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের আয়ের বড় অংশ আসে এনবিআরের মাধ্যমে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম আট মাস জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বাকি চার মাসে আদায় করতে হবে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা।

করোনাকালে লক্ষ্যমাত্রার কতটা রাজস্ব আহরণ সম্ভব, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য এনবিআরকে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এবার এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য বাড়ানো হচ্ছে, যার আকার হবে ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো (অর্থ মন্ত্রণালয়)।

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ তাহলে কত হবে?  

‘চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশের সমান। অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো বলছে, আগামী বাজেট হবে সম্প্রসারণমূলক। এতে ঘাটতি ধরা হবে জিডিপির ৬ দশমিক ২ থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে। সেই হিসাবে আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে, যা হবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (প্রাগুক্ত)।’

এই হিসাবটা ভয়াবহ! ২ লাখ কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট! সেটা কোন কোন খাত থেকে মেটানো হবে, সে সম্পর্কে সরকারের তরফে পরিষ্কার কোনো ধারণা দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে এটা ধরে নিতে হবে, ওই টাকা তো আকাশ থেকে পড়বে না! কোনো না কোনোভাবে জনসাধারণের ঘাড় মটকেই আদায় করা হবে। তা না হলে বিশেষ ধরনের ২৫০ টাকার সুই কিনতে ২৫০০০ টাকা দেখাতে কষ্ট হবে না? 

বিস্ময়কর অথচ অদ্ভুত ব্যাপার হলো, বাজেট পেশের আগেই বাজেটের নেপথ্য কারুকাজ নিয়ে ‘খেলা’ শুরু হয়েছে। সেই পুরনো গৎ। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কী থাকবে না? হ্যাঁ, এবারও সেই মহান সুযোগ থাকছে কালো টাকার মালিকদের। তা না হলে হাজার হাজার কোটি কালো টাকার কী গতি হবে? এবারো বাজেটের আগে বিভিন্ন পোষক সংস্থা ও করপোরেট হাউসগুলো, সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজ নিজ ‘মামাবাড়ির আবদার টাইপ’ আবদার পেশ করে বসেছেন।

ব্যাংকিং সেক্টর থেকে বলা হয়েছে কম করপোরেট কর 

এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে তারা বলেন, ‘দেশের যে উন্নয়ন আজ দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গে ব্যাংক খাতের সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে। স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেওয়া ব্যাংকের কাজ হলেও শক্তিশালী শেয়ারবাজার না থাকায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার কাজও ব্যাংক খাতকেই করতে হচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ব্যাংক খাত। অথচ ব্যাংকগুলোকে ৪০ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেশি। মন্দ ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন রাখতে হয়। এমনিতেই ঋণ আদায় হয় না, তার ওপর প্রভিশনের টাকাকে আয় দেখিয়ে কর কেটে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে (অর্থ মন্ত্রণালয়)।’

এবারকার বাজেটে যেটুকু ইতিবাচক তা হলো, মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল থাকছে এবার, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের বরাদ্দের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। যদিও তহবিল থাকার মানে এই নয় যে, সেই তহবিল সুষ্ঠুভাবে ব্যয় হবে। তার পর পরই রয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। এর আকার আরও বাড়ছে। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। কারণ বহু দিন উৎপাদনের চাকা ঘোরেনি। এই বাড়ানোর সুফলও হয়তো একজন শ্রমিকও পাবে না। কারণ যখন কোনো মহামারি বা দুর্যোগ আসে, তখন রাতারাতি এসব শিল্প-কারখানার মালিকগণ ‘পথের ফকির’ হয়ে পড়েন! তাদের তখন রিকশাভাড়া দেওয়ার টাকাও থাকে না! তারা সরকারের দুর্বল জায়গায় চাপ দেয়। এতে করে দু’ধরনের আরাম বোধ করে- এক. শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দিতে পারলে দায়টা সরকারের ওপর চালিয়ে দেওয়া যাবে। তাই চাপ দিলেই সরকার সুড়সুড় করে দিতে বাধ্য। দুই. ওই অনুদান বা প্রণোদনার টাকা থেকেও বড় অংশ লুটপাট করে নেওয়া যাবে। আর সেটা কেউ টেরও পাবে না। 

এবার বাজেটে যে আটটি খাতে বরাদ্দ বেশি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটির খবর নেওয়া যাক:

এক. করোনা মোকাবেলায় অগ্রাধিকার খাতগুলোতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করাই প্রধান কাজ হিসেবে থাকছে আগামী বাজেটে। এর মধ্যে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে- স্বাস্থ্য, কৃষি ও সমাজকল্যাণ খাত, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে। এসব খাতে অর্থায়নে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে অর্থ বিভাগ থেকে।

দুই. প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন করা। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ ২ হাজার ৭শ’ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এর আগে করোনা মোকাবেলায় ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সেটি ছিল প্রথম প্রণোদনা প্যাকেজ। এসব প্যাকেজের অর্থ পুরোপুরি ব্যয় সম্ভব হয়নি চলতি বাজেটে। প্যাকেজগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়নে বাজেটে অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। ফলে নতুন বাজেটে এসব খাতে বরাদ্দ অব্যাহত রাখা হবে।

তিন. স্বাস্থ্য খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণের অর্থ সংস্থানে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চলতি বাজেটে ২২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। আসন্ন বাজেটে এ বরাদ্দ আরও বাড়ানো হচ্ছে। এরই মধ্যে করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য খাতে অস্বাভাবিক ব্যয় বেড়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটা ও টিকা আমদানি করতে হচ্ছে।

চার. কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কারণ করোনার প্রভাবে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। শুধু লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়েছেন প্রায় পৌনে ৪ কোটি মানুষ। এর মধ্যে প্রায় দেড় কোটি কর্মী কাজ হারিয়েছেন। তারা এখনো কাজে ফিরতে পারেননি। আমরা জানি, এরই মধ্যে ৫৭০ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ বিভাগ। সেই টাকা কারা পেয়েছে সেটি কিন্তু আমরা জানি না!

পাঁচ. করোনা মহামারিতে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফলে এসব মানুষকে সহায়তা করতে আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সম্প্রাসরণ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরে প্রায় ৮৫ লাখ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। ধারণা পর্যন্ত আপাতত ভাবা যেতে পারে এর বেশি না।

ছয়. নিম্ন ও গরিব মানুষদেরও দেওয়া হবে স্বল্প ও বিনামূল্যে খাদ্য। এ বিষয়টি আগামী বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ১০ টাকা মূল্যে খাদ্য, কাবিখা, টিআর, ভিজিডি, ভিজিএফ, ওএমএসের মাধ্যমে এসব সুবিধা দেওয়া হবে। এসব কর্মসূচির সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উৎপাদন পর্যায়ে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন ও সারের ভর্তুকি দেওয়া।

সাত. গৃহহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহনির্মাণ এবং শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন। ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন খাত, পরিবহন ও হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসা এখনো মন্দা চলছে।

আট. হর দরিদ্র মানুষদের হাতে হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া। এই বিষয়টি করোনাকালীন গত এক বছরে যতবার আলোচিত হয়েছে, তাতে করে অন্তত দশজন মানুষকে জিজ্ঞেস করলে আট-নয় জনেরই বলার কথা- ‘হ্যাঁ টাকা পেয়েছি’। এমন কোনো সংবাদ পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে বলে দেখা যায় না।

সুতরাং বিশাল জাতীয় বাজেট মানেই উন্নয়ন, দেশের উন্নয়ন, মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণ, সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ব্যাপারটা এমন জলবৎ তরল নয় মোটেই। আগেই বলেছি- বাজেট হলো নির্দিষ্ট করে রাষ্ট্র খরচের টাকা কোন কোন খাত দেখিয়ে জনসাধারণের ঘাড় মটকে আদায় করা হবে এবং সেই টাকার সামান্য একটা অংশ খরচ করে বাকি টাকা দিয়ে সরকারি পাওয়ারবেল্টের কাছাকাছি থাকা এবং সরাসরি পাওয়ারবেল্টে লেপ্টে থাকা মানুষগুলো বেশুমার ভোগ-বিলাস করবে, তার খতিয়ান বা পরিকল্পনা। এর সঙ্গে হা-ভাতে গরিব সাধারণ মানুষের কোনো লাভালাভি নেই। আগেও ছিল না, এখনো নেই।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //