নয়া লুকে নতুন ছবির শুটিংয়ে শহিদ

পরের ছবি ‘জার্সি`’র শুটিংয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন শহিদ কাপুর। ইনস্টাগ্রামে নিজেই শেয়ার করেছেন নিজের শুটিংয়ের ছবি। 

কালো পোশাকে, কালো চশমায় এতদিন পর সেটে শহিদকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ফ্যানেরা। ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করে শহিদ লিখেছেন, 'জার্সি প্রস্তুতি... দে ধানা ধন'। 

এই ছবিতে ক্রিকেটারের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে শহিদকে। পর্দায় প্রথমবার এমন চরিত্রে অভিনেতা, একেবারে অন্য স্বাদে ছকভাঙা।

এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যানেদের নজর কেড়েছে দুটি কারণে। এক তো এতদিন পর সেটে ফিরলেন প্রিয় অভিনেতা। তারই সাথে নজরকাড়া তার লুক। অভিনেতার পোস্টে অনুরাগীদের তেমনই মন্তব্য ভরে গিয়েছে। লাল হৃদয়ের ইমোজিতে ভেসে যাচ্ছে শহিদের সোশ্যাল ওয়াল।

কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল করোনার কালবেলায় প্রযোজকের সাহায্য করতে ডাবল শিফটে কাজ করছেন অক্ষয় কুমার। নিজের কেরিয়ারে এই প্রথম ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করলেন অভিনেতা। 

এবার সেই পথেই প্রযোজককে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারিশ্রমিক কমালেন শহিদ। সম্প্রতি বলিউডের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, শহিদ জার্সি ছবিটি সই করেছিলেন ৩৩ কোটি রুপি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে। তার সাথে লাভের খানিক শতাংশও তাকে দিতে হতো প্রযোজনা সংস্থার। তবে কভিডের এমন কালবেলায় শুটিং দীর্ঘদিন বন্ধ। প্রযোজকের বাজেটও প্রচুর কমে গিয়েছে। তিনিই শহিদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন পারিশ্রমিক কমানোর জন্য। তাহলে শুটিং শুরু করতে পারেন তারা।

জানা গেছে, শাহিদ একবারেই এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। একবারে ৮ কোটি রুপি কমিয়ে ২৫ কোটিতে  ছবিটি করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ও তারই সাথে তিনি খুবই আশাবাদী ফিল্মের শুটিং শুরু নিয়ে। তবে লাভের শতাংশে কোনো বিকল্প হবে না বলে শহিদকে জানিয়েছেন প্রযোজকেরা।

তেলুগু ফিল্ম ‘অর্জুন রেড্ডি’র রিমেক ‘কবীর সিং’-এ অভিনয় করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন শহিদ। এবার তেলুগু ছবি জার্সির হিন্দি রিমেকের জন্য তৈরি হচ্ছেন তিনি। তাকে দেখা যাবে একজন ক্রিকেটারের চরিত্রে। ছবির পরিচালক গৌতম তিন্নানুরি। তেলুগু ছবি জার্সিরও পরিচালকও ছিলেন গৌতম। 

ছবিতে দেখা যাবে, ৪০ বছরের এক ব্যক্তি নিজের স্বপ্নপূরণ করতে ভারতীয় ক্রিকেট দলে যোগ দিতে চান। জার্সি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শহিদ বলেছেন, আসলে, কবীর সিংয়ের পর কী করব তা ঠিক করতে একটু সময় নিয়ে নিয়েছি। কিন্তু যখনই জার্সি দেখেছি আমি বুঝে গিয়েছিলাম এটাই আমার পরের ছবি। এই জার্নিটার সাথে নিজেকে জুড়ে নিতে পেরেছি। -এই সময়