ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে কমছে বিদেশি সহায়তা, বাড়ছে ঋণ

বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এমএফআই) বিদেশি তহবিল অস্বাভাবিকভাবে কমছে; অন্যদিকে, বাড়ছে বিদেশি ঋণ।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ বার্ষিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি ২০২৩ সালের জুন শেষে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই)-এর সোর্সেস অফ ফান্ডে বিদেশি তহবিলের অংশ ০.২ শতাংশ, যা ৩৪৪ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে এই ফান্ডের পরিমাণ ছিল ০.৬২ শতাংশ বা ৫৪৬ কোটি টাকা। 

২০২৩ সালের জুন শেষে এমএফআই'র মোট সোর্সেস অফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকায়। অন্যদিকে, ২০১৯ সালের জুন শেষে এই ফান্ডের পরিমাণ ছিল ৮৮ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা।

গতকাল রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) জুন, ২০২৩ সাল ভিত্তিক প্রকাশনার ওপর এক শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীমউল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমআরএ'র এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে অর্থ সচিব এমএফআই সেক্টরের ইতিবাচক ঘটনাগুলো তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ইতিবাচক উন্নয়নকে আরও অনুপ্রাণিত করতে আমাদের উচিত এই সেক্টরের সফল উদ্যোগগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরা।

একইসঙ্গে তিনি এ খাতের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা মোকাবেলা করে তাদের দুর্ভোগ কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব হোসেন বলেন, আমাদের দেশে এক সময়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর ফান্ডের অন্যতম উৎস ছিল ফরেন ফান্ড। এগুলো ফরেন এইড হিসেবেই আসতো। এখন আমাদের দেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের পথে এগোচ্ছে, যার কারণে ফরেন ফান্ড কমছে।

তিনি আরও বলেন, ফারেন ফান্ড কমলেও সামগ্রিকভাবে আমাদের ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অডিটেডের পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমানে বিদেশে এইড কমলেও ফরেন ঋণের পরিমাণ ব্যাপক বাড়ছে।

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের এসেট এর মূল উৎস হলো- ক্লায়েন্টদের সঞ্চয়, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) থেকে ঋণ, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ, দাতা তহবিল, ক্রমবর্ধমান উদ্বৃত্ত এবং সরকারি ও বৈদেশিক ঋণসহ অন্যান্য তহবিল।

২০২৩ সালের জুন শেষে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান (এমএফআই)-এর অন্যান্য তহবিলের পরিমাণ ৯,০১৮ কোটি টাকা বা মোট ফান্ডের ৫.৬ শতাংশ। এই ফান্ডের মধ্যে একটি অংশ বিদেশি ঋণ । অথচ ২০১৯ সালের একই সময়ে এই ফান্ডের পরিমাণ ছিল ১,৫৭১ কোটি টাকা বা মোট ফান্ডের ১.৭৮ শতাংশ। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //