করোনাভাইরাসের প্রভাব বিবেচনা করে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে আরো শিথিলতা এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল রবিবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোনো গ্রাহক কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে আগামী জানুয়ারি থেকে ওই কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ যারা চলতি বছরে ঋণ শোধ করবেন না, তাদের আগামী বছর থেকে কিস্তির সংখ্যা ও পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যত সংখ্যক কিস্তি বকেয়া থাকবে, ঠিক তত সংখ্যক বাড়ানো যাবে। ঋণের ওপর সুদ হিসাবের ক্ষেত্রে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের লোকসানের কথা বিবেচনা করে প্রথম দফায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এ ছাড় দেয়া হয়। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর করা হয়।
দেশে বর্তমানে ৩৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গত জুন পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল আট হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। যা তাদের বিতরণ করা ঋণের ১৩.২৯ শতাংশ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ছাড় ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জুন ত্রৈমাসিকে দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ চার হাজার কোটি টাকা বেড়ে ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা হয়েছে। -ইউএনবি
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh