অস্বাভাবিকভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে

করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে মানুষ অর্থনৈতিক সংকটে দিন কাটালেও সঞ্চয়পত্র বিক্রি অনেক বেড়ে গেছে। 

বিষয়টিকে অর্থনীতি বিষয়ক গবেষকেরা স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না।

শুধু জুন মাসেই নানা ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে নয় হাজার ৩২৩ কোটি টাকার, যা এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বশেষ সবচেয়ে বেশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিলো গত বছর জানুয়ারি মাসে মোট নয় হাজার ৭২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার।

মুনাফার ওপর করের হার বৃদ্ধি, বিভিন্ন ধরনের কড়াকড়ি আর করোনা তো রয়েছেই, এসবের পরও সঞ্চয়পত্রের ঊর্ধগতির বিশেষ কোনো কারণ বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক জায়েদ বখত। 

সঞ্চয়পত্র বিক্রির ঊর্ধগতি সম্পর্কে গত মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই ভয়াবহ দুর্যোগকালে মানুষকে যখন তার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করতে হচ্ছে, সেখানে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বৃদ্ধির কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷

প্রায় একই মন্তব্য করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তার কাছেও করোনাকালে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে।

এর সম্ভব্য দুটি কারণের কথা তারা জানিয়েছেন। মনসুর বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের একটি অংশ দিয়ে মানুষ সঞ্চয়পত্র কিনছে, এখন রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ায় এই অংক বেড়েছে। তাছাড়া যেকোনো সঞ্চয় প্রকল্পের চেয়ে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বেশি, ১১ থেকে সাড়ে ১১ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যায়। ব্যাংকে টাকা রাখা অনেকে ঝুঁকি মনে করেন তাই সঞ্চয়পত্রকে নিরাপদ ভেবে মানুষ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারে।

তবে গবেষক জায়েদ বখত বলেন, রেমিটেন্স বেড়ে যাওয়াও একটা কারণ হতে পারে, তবে এতেও বিক্রি এত বেশি বাড়ার কথা নয়। 

ব্যাংকগুলোর আমানত ভালো থাকায় মানুষ ব্যাংকে টাকা না রেখে সঞ্চয়পত্র কিনছে বলেও তিনি মনে করেন না ৷ তিনি বলেন, এখন আর কেউ ভুয়া নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারে না। তাই আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না, সঞ্চয়পত্র বিক্রি এত বাড়ছে কেন? -ডয়চে ভেলে

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //