দুই মাসের মধ্যেই তিন হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরাতে একমত হয়েছে ঢাকা-নেপিদো। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের রাজধানীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে দুই দেশের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আস্থা তৈরির পদক্ষেপের বিষয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবিরের নেতৃত্বে গত শনিবার একটি প্রতিনিধিদল নেপিদো পৌঁছান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিবার ভিত্তিক, অঞ্চল ভিত্তিক ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। পাইলট প্রকল্প হিসেবে তিন হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গারা যদি নিরাপদ বোধ না করে, তাহলে বাংলাদেশ কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে রাখাইনে পাঠাবে না বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে প্রত্যাবাসন শুরুর আগে মিয়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধিদল এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
এর আগে, চলতি বছরের ৫ মে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ-পরিস্থিতি পরিদর্শনে বাংলাদেশে বসবাসরত ২০ রোহিঙ্গা সহ ২৭ জনের একটি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে যান।
আরআরআরসি সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরুর পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনে ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দিয়েছিল। সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করে মাত্র ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তা বাংলাদেশের কাছে ফেরত পাঠিয়েছিল মিয়ানমার।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh