বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তিন মাস পর্যবেক্ষণের পর আজ শুক্রবার (১ অক্টোবর) থেকে দেশের অবৈধ বা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পর্যবেক্ষণ চলাকালে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে ৩১ লাখ অবৈধ সেট শনাক্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিটিআরসি।
এর আগে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ করার ব্যাপারে একাধিকবার বিটিআরসি সময়সীমা নির্ধারণ করলেও সেটি কার্যকর করতে পারেনি। সবশেষ গত জুলাই থেকে সেটগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েও তা থেকে সরে এসেছিল। তবে ১ অক্টোবর থেকে তা কার্যকরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে যেসব মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি বা প্রস্তুত করা হয়নি, সেগুলোই হচ্ছে অবৈধ। দেশের বাইরে থেকে অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আসা ফোনও চালু হবে না। এতে করে বৈধ পথে দেশে মোবাইল ফোন আমদানি বাড়বে, সরকারের রাজস্বও বাড়বে। নতুন উদ্যোগ পুরোপুরি কার্যকর হলে দেশে কোনো অবৈধ মোবাইল ফোন থাকবে না।
বিটিআরসি বলছে, ব্যবহারকারীর হাতের মোবাইল ফোনসেটটি বৈধ না অবৈধ বা আন-অফিসিয়াল তা জানার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) নামের একটি সিস্টেম গত ১ জুলাই থেকে চালু করে বিটিআরসি।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘আমরা ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে বৈধ ও অবৈধ মোবাইল ফোন সেট শনাক্তের কাজ করেছি। এখন (১ অক্টোবর) থেকে চূড়ান্তভাবে অনিবন্ধিত মোবাইল সেট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
‘আজ থেকে আর কোন আন-অফিসিয়াল বা অবৈধ সেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে না। আজতো প্রথম দিন তাই কত সেট বন্ধ হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না, তার জন্য একটু সময় লাগবে। গত তিন মাসে অবৈধ সেট শনাক্ত হয়েছে ৩১ লাখের মতো। আর এ সময় নতুন বৈধ সেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে ৭৬ লাখ। মোট ১ কোটি ৮ লাখের মতো মোবাইল সেট গত তিন মাসে নতুন হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, অবৈধ মোবাইল সেট বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর বিটিআরসি। সে জন্য নতুন মোবাইল সেট কিনতে হলে গ্রাহককে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে সেটি বৈধ কী না। এখন থেকে নতুন কোন সেট চালু করতে হলে তা অথোরাইজড হতে হবে।