সাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৮১ জন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো ‘বাধ্যবাধকতা নেই’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
ভারতের কোস্ট গার্ড এই রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে — এমন খবর প্রচারের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানান ড. আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার থেকে নৌকা করে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয় রোহিঙ্গাদের দলটি। সাগরে হারিয়ে যাওয়ার পর এই নৌকাটির যাত্রীদের নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এরপর ওই শরণার্থীদের সাহায্য করতে ভারতীয় কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ আন্দামান সাগরে পাঠানো হয়।
দিল্লি জানিয়েছে, বেঁচে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকেই অসুস্থ। ভুগছে গুরুতর পানিশূন্যতায়। চলতি সপ্তাহে নৌকার ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর থেকে বেশ কয়েক দিন খাবার আর পানি ছাড়াই থেকেছে তারা। মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার রোহিঙ্গাদের খাবার ও ওষুধ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশুদের নতুন কাপড় দিয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। তবে যারা মারা গেছেন তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কোনো ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
নৌকায় ভাসমান রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরা নিশ্চিত করতে তাদের নৌকা মেরামত করা হচ্ছে বলেও জানান ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়, প্রকৃতপক্ষে তার মিয়ানমারের নাগরিক। তাদেরকে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ১৭০০ কিলোমিটার দূরে পাওয়া গেছে। আর তাই তাদের ফেরত নিতে বাধ্য নয় বাংলাদেশ।
এই শরণার্থীদের অন্যান্য দেশ এবং সংস্থার দেখভাল করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ফোনে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ১৪৭ এবং মিয়ানমার থেকে ৩২৪ কিলোমিটার দূরে রোহিঙ্গারা অবস্থান করছিলেন।