নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০২:১৬ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:১৫ পিএম
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে দু’জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩০ জন। এসময় চার থেকে পাঁচ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পটুয়াখালীতে।
সচিবালয়ে আজ রবিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখনো বাংলাদেশেই অবস্থান করছে। তবে সেটা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যাওয়ায় আজ বিকেলের মধ্যে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আর কালকে (সোমবার) আমরা একটা রোদ্রজ্জ্বল দিন পাব।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় ১৪ জেলায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে আগাম ব্যবস্থা নিয়েছিল সরকার। এখন পর্যন্ত খুলনা ও পটুয়াখালীতে দুইজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে সরকার। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে পরবর্তী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পটুয়াখালীতে। সেখানে ঘর-বাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি প্রবাহিত হচ্ছে বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে।
এছাড়া সুন্দরবনের যত্নে আন্তঃমন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে এখনো পর্যন্ত তিন জেলায় ঘর ও গাছচাপা পড়ে নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় দুইজন, পটুয়াখালী ও বরগুনায় একজন করে।
নিহতরা হলেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামের হামেদ ফকির (৬০), খুলনার দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের স্ত্রী প্রমিলা মণ্ডল (৫২), খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৫) ও বরগুনা সদর উপজেলার বানাই গ্রামের হালিমা খাতুন (৬৬)।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh