জেলার খবর
প্রতিনিধি, বরিশাল
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম
জেলার খবর
প্রতিনিধি, বরিশাল
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসকের অবহেলায়
এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন স্বজনরা।
আজ শুক্রবার সকালে হাসপাতালে স্বজনরা বিক্ষুব্ধ
হয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে
হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে সুলতানা নামের এক রোগীর মৃত্যু হলে স্বজনরা বিক্ষুব্ধ
হয়ে ওঠেন এবং হট্টগোল শুরু করেন। তারা ৫ম তলায় চিকিৎসকের রুমের সামনে
গিয়ে জড়ো হন এবং গালাগাল করাসহ তৃতীয় তলার সেবিকার রুমের কাগজপত্র ফেলে দেন।
স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের বার বার
বলার পরেও তারা রোগীর যথাযথ চিকিৎসা করেননি। এমনকি তাকে গেলো রাতে
অতিরিক্ত ব্যাথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়।
মৃতের স্বজন (ভগ্নিপতি) জাহাঙ্গীর জানান,
২৭ আগস্ট বরিশালের হেমায়েত উদ্দিন ডায়াবেটিক হাসপাতালে বরিশাল সদর উপজেলার চর কাউয়া
এলাকার বাসিন্দা বসির খানের স্ত্রী সুলতানা (৩২) গর্ভবতী অবস্থায় ভর্তি হন। ওই দিনই
সেই হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
এরপর সেখান থেকে চলে যাওয়ার ৪/৫ দিনের
মধ্যে সুলতানা হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করলে বরিশালের রেড ক্রিসেন্ট
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখান থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের সার্জারি-৩ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায়
আজ সকাল ৮ টায় সুলতানার মৃত্যু হয়। কিন্তু গতকালও সুলতানা সুস্থ ছিল, হাঁটাচলা করেছে।
মৃতের স্বজন আজিজ জানান, সুলতানার শরীরের
ভেতরে ইনফেকশন করেছে এমনটা আমরা চিকিৎসকের কাছ থেকেই
জেনেছি। এরপর চিকিৎসকরা তার শরীরে অস্ত্রপচারও করেন। সুলতানা সুস্থ হয়ে উঠছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সকালে তার
মৃত্যু হয়। বারবার বলার পরও সুলতানার যথাযথ খোঁজ-খবর নেননি দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।
তবে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা দাবী করেছেন সুলতানা নামের রোগীর অবস্থা আগে থেকেই সঙ্কটাপন্ন ছিলো। ইতিপূর্বে তার পেটে তিন বার অস্ত্রপচার হয়েছে। তবে সর্বশেষ তার কি সমস্যা ছিলো সে সম্পর্কে জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন ডিউটি ডক্টররা। তারা বিষয়টি নিয়ে জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেনও ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ জালাল বলেন, রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গেছেন, বর্তমানে হাসপাতালের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh