যুক্তরাষ্ট্রকে চেপে ধরতে রাশিয়ার নয়া কৌশল

যুক্তরাষ্ট্রকে কুপোকাত করতে নতুন কৌশল খাটাতে শুরু করেছে রাশিয়া। বেছে বেছে মার্কিন নাগরিকদের বন্দি করছে মস্কো। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমে। গুপ্তচরবৃত্তি ও মাদক পাচারসহ নানা অভিযোগে আটক করা হচ্ছে তাদের। মস্কোর বিরুদ্ধে একে রাজনৈতিক দর কষাকষির হাতিয়ার বানানোর অভিযোগ ওয়াশিংটনের। বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশে রুশ বন্দিদের মুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপ পুতিনের।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েনের খবর কারও অজানা নয়। মস্কোকে ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাশাপাশি পুতিন বাহিনীকে পরাজিত করতে কিয়েভকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।

তবে এসবকে যেন আমলেই নিচ্ছে না রাশিয়া। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রকে ধরাশায়ী করতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। এবার দুদেশের মধ্যে নতুনভাবে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বন্দি ইস্যু।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, গত কয়েক বছরে রাশিয়ার কারাগারে বেড়েই চলেছে মার্কিন নাগরিকদের সংখ্যা। বলা হচ্ছে, গুপ্তচরবৃত্তি, মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেছে বেছে যুক্তরাষ্ট্রকেই টার্গেট করছে রাশিয়া।

তবে এখন পর্যন্ত কত মার্কিন নাগরিক রয়েছে রুশ কারাগারগুলোতে, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি মস্কো। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টার ইভান গার্শকোভিচকে রুশ প্রশাসনের গ্রেফতারের এক বছরের মাথায় আবারও আলোচনায় বন্দি ইস্যু।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, আটক মার্কিন সাংবাদিক গার্শকোভিচের বন্দিত্বের মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ইভানকে দেশে ফিরিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয় উল্লেখ করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দাবি করেন, ইভানের বিরুদ্ধে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি রাশিয়া। এমনকি একে রাজনৈতিক দর কষাকষির হাতিয়ার বানিয়েছে মস্কো।

শুধু ইভানই নয়, গত বছর রাশিয়ায় আরও এক মার্কিন সাংবাদিক আলসু কুরমাশেভা গ্রেফতার হন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দ্বৈত নাগরিক হলেও তার বিরুদ্ধে বিদেশি এজেন্ট হিসেবে নিবন্ধনে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছিলো। এছাড়া রুশ কারাগারে আরেক মার্কিন নাগরিক পল ওয়েলান এখনও আটক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশে রুশ বন্দিদের ঘনিষ্ঠ নাগরিকদের মুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপ পুতিনের। এমন কৌশলে বাধ্য হয়ে বাইডেন প্রশাসন বন্দি বিনিময়ে রাজি হবে বলে ধারণ করা হচ্ছে।

এসবের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে রুশ-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন অসম্ভব বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ।

সূত্র- রয়টার্স, আল-জাজিরা

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //