জাপান সাগরে উ. কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

জাপান সাগরের দিকে একটি অজ্ঞাত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। এমনটাই দাবি করছে দক্ষিণ কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকি দেওয়ার দুদিনের মাথায় এ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল দেশটি।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেন, জাপান সাগরের (ইস্ট সি) দিকে একটি অজ্ঞাত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি জাপানের কোস্ট গার্ড ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও নিশ্চিত করেছে।

বর্তমানে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে। দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরের নেতা কিম জং উন তার দেশকে ‘অপারেজেয়’ পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে কৌশলগত পরমাণুসহ সমরাস্ত্র বিকাশের কথা জানিয়েছেন।

তবে পিয়ংইয়ংয়ের এমন ঘোষণার পর পাল্টা জবাবও দিয়েছে সিউল ও ওয়াশিংটন। তারা বলছে, উত্তর কোরিয়া এমন কোনো কাজ করলে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের মাধ্যমেই জবাব দেওয়া দেওয়া হবে। এমনকি মিত্রদের ওপর পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হলে উত্তর কোরিয়ার বর্তমান সরকারের অবসান হবে।

দুই কোরিয়ার মধ্যে এমন বাক-যুদ্ধের মধ্যে গত সোমবার (১০ জুলাই) নতুন করে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দক্ষিণের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান যদি দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তাহলে সেগুলো গুলি করে ফেলে দেওয়া হবে।

গত সোমবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুখপাত্র এই কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ খবর জানিয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গোয়েন্দা বিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দেশটির আকাশে ঢুকে পড়েছিল।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বিশেষভাবে পূর্ব সাগরের (জাপান সাগর) দিক দিয়ে মার্কিন বিমানবাহিনীর কৌশলগত গোয়েন্দা বিমানগুলো বহুবার উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।’

তিনি সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেন, ‘পূর্ব সাগরের আকাশে কোনো মার্কিন গোয়েন্দা বিমানকে গুলি করে ফেলে দেওয়া হবে না- এমন গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের দাবি সত্য নয়। তারা বলেছে, মার্কিন বিমান নজরদারি সরঞ্জামগুলো কোরীয় উপদ্বীপের চারপাশে নিয়মিত নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।

এ ছাড়া মার্কিন মিত্র দেশগুলো উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ড নিরীক্ষণের জন্য একসঙ্গে কাজ করে বলেও জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //