তাইওয়ান: ঠাণ্ডা যুদ্ধের নতুন ক্ষেত্র

তাইওয়ান এমন এক অঞ্চল; যা চীনের অধীন নয়, আবার বিচ্ছিন্নও নয়। ঐতিহাসিকভাবে এ ভিন্ন চরিত্র চীনের মূল ভূখণ্ডের জন্য যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

চীন-মার্কিন ঠান্ডা যুদ্ধে তাইওয়ান পরিণত হয়েছে নতুন রণক্ষেত্রে।

ইতিহাসের পাতা থেকে

হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান- এ তিনটি অঞ্চল নিয়ে ঐতিহাসিকভাবে চীনের ভেতরে ও বাইরে বিতর্ক রয়েছে। হংকং ও ম্যাকাও এখন চীনের অধীনস্ত। এই দুটি অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে স্বশাসিত এলাকা হিসেবে। হংকং ছিল ব্রিটিশ কলোনি। আর ম্যাকাও পর্তুগিজ কলোনি। নব্বই দশকের শেষ ভাগে এই দুটি অঞ্চল চীনের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। 

কিন্তু তাইওয়ানের অবস্থা ভিন্ন। এটি কি চীনের অংশ, না-কি স্বাধীন দেশ- এ নিয়ে খোদ তাইওয়ানেও বিতর্কের কমতি নেই। চীনের দাবি তাইওয়ান তারই অংশ। এটি চীন থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ, যা ভবিষ্যতে আবারো চীনের সাথে একীভূত হবে। আবার তাইওয়ানের কোনো কোনো দল ও জনগণের একটি অংশ এটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চান। আবার অনেকেই আছেন যারা চীনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পক্ষে। তাইওয়ানের জনগণের একটি বড় অংশ এখনো এ প্রশ্নে মনস্থির করে উঠতে পারেননি। তারা এ অবস্থায় থেকে যাওযার পক্ষে- চীনের অংশও নয়, আবার চীন থেকে আলাদাও নয়।

চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপ। ১৬৮৩ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত চীনের রাজারাই শাসন করেছে তাইওয়ান। এরপর জাপানিরা দখল করে ওই দ্বীপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়া হয় চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন চীনা সরকারের হাতে। কিন্তু চীনের গৃহযুদ্ধে মাও সে-তুঙয়ের নেতৃত্বে কমিউনিস্ট পার্টির গণমুক্তি বাহিনীর সাথে হারতে থাকে চিয়াং কাইশেকের সরকার। এক পর্যায়ে চিয়াং কাইশেক ও তার কুওমিনটাং পার্টির লোকজন পালিয়ে যান তাইওয়ানে। সেখানে তারা ‘চীন প্রজাতন্ত্র’ নামে এক সরকার গঠন করে ও নিজেদের সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার বলেও দাবি করে। 

১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তাইওয়ানের সরকারই চীনের প্রতিনিধিত্ব করেছে। ওই বছর জাতিসংঘ মূল ভূখণ্ডে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে বিশ্বের প্রায় সব দেশই বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। অপরদিকে, তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কমতে থাকে। ১৯৮০’র দশক পর্যন্ত তীব্র বাকযুদ্ধ চললেও, পরে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তখন ‘এক দেশ, দুই পদ্ধতি’ নামে চীন এক প্রস্তাব দেয়- তাইওয়ান মূল চীনে একীভূত হবে; কিন্তু তাদের স্বায়ত্তশাসন দেয়া হবে। তাইওয়ান সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। অবশ্য দু’পক্ষের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকেনি। 

২০০০ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হন চেন শুই বিয়ান। ২০০৪ সালে তিনি ঘোষণা দেন যে, তাইওয়ান চীন থেকে আলাদা হয়ে সম্পূর্ণ ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। এর বিপরীতে ২০০৫ সালে চীন এক আইন পাস করে। যাতে বলা হয়, তাইওয়ান যদি চীন থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে, তা ঠেকাতে চীন প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করবে। 

উল্লেখ্য, তাইওয়ানের অর্থনীতি এখন চীনের ওপর এতটাই নির্ভরশীল যে, জনসংখ্যার একাংশ স্বাধীনতাকে কোনো বাস্তবসম্মত বিকল্প বলে মনে করে না। তাইওয়ানের বড় দুই দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি অবশ্য স্বাধীনতার পক্ষে। অন্যদিকে কুওমিনটাং পার্টি (কেএমটি) চায় মূল চীনের সঙ্গে একীভূত হতে।

নতুন ঠান্ডা যুদ্ধ 

সম্প্রতি চীন-মার্কিনের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে তাইওয়ান একটি কৌশলগত রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়কালে এশিয়ার প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চল কখনোই খুব শান্তিপূর্ণ ছিল না। ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের সাথে জোট গঠনের মধ্য দিয়ে শক্তি বৃদ্ধির পররাষ্ট্রনীতি চালিয়ে গেছে; যার একটি বড় অংশজুড়েই রয়েছে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি। আঞ্চলিক ক্ষমতায় শক্তিশালী মার্কিন উপস্থিতির মানে হলো- চীনের বিশ্বশক্তি হওয়ার পথে ব্যাপক বাধা। চীনের উত্থান মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্ব ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। 

গত মার্চে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘তাইপে অ্যাক্ট’ স্বাক্ষর করেছিলেন। এ আইনের আওতায় তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না করলেও ওয়াশিংটন ডিসিতে তাইওয়ানের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে। তাইওয়ানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাইওয়ানে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে অতীতে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছিল। 

তাইওয়ান ইস্যুকে আরো চাঙ্গা করতে হুমকিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ৭ অক্টোবর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান বলেন, ‘গায়ের জোরে তাইওয়ান দখলের চেষ্টা করলে চীনকে ফল ভোগ করতে হবে। সমুদ্র পেরিয়ে তাইওয়ানে সেনা মোতায়েন করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। এছাড়া চীন সেনা পাঠালে যুক্তরাষ্ট্র কোথায় প্রত্যাঘাত করবে সেটিও মাথায় রাখা উচিত।’ 

নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ও’ব্রায়ান আরো জানান, অত্যন্ত দ্রুততার সাথে নৌবাহিনীকে বিস্তৃত করছে চীন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ নৌসেনার সাথে পাল্লা দিতে এভাবেই সমুদ্রে শক্তি বাড়িয়েছিল জার্মানি। তারপর থেকে এমন ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ‘চীনের উদ্দেশ্য হলো- পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে তাইওয়ান দখল করা।’ 

দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াতে আইনত বাধ্য যুক্তরাষ্ট্র। চীন তাইওয়ানে হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ নেবে কি-না, এই প্রশ্নের উত্তরে ও’ব্রায়ান জানান, বেইজিং আগ্রাসন চালালে ওয়াশিংটন চুপ থাকবে না। এর আগে ‘এক চীন’ নীতিকে পাস কাটিয়ে গত ১০ আগস্ট তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। তাইপে গিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইয়ং-ওয়েনের সাথে সাক্ষাৎ করে তাইওয়ান প্রজাতন্ত্রের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের জোরালো সমর্থন রয়েছে বলে জানান। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলা করতে তাইওয়ানের পদক্ষেপকে ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা’ হিসেবেও উল্লেখ করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ‘সোভিয়েত আতঙ্কে’ মার্কিন নেতারা যেসব কথা বলতেন; বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনেকটা সেরকম কথাবার্তাই বলছেন। গত ২৯ মে হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি চীনের কর্মকাণ্ডকে ‘কুকর্ম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, চীন এ সংস্থায় বাৎসরিক চাঁদা দেয় মাত্র ৪০ মিলিয়ন ডলার; কিন্তু নীতিনির্ধারণে বড় ভূমিকা পালন করে। যুক্তরাষ্ট্র চাঁদা দেয় বছরে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার; অথচ যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। ট্রাম্পের উগ্রবাদী নীতি শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর কাছে তাকে জনপ্রিয় করলেও ব্যাপক মার্কিনির কাছে জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। জনপ্রিয়তা বাড়াতে তিনি এখন ‘চীনা কার্ড’ ব্যবহার করছেন।

উদ্বিগ্ন চীন

প্রতি বছরের ১০ অক্টোবর তাইওয়ান তাদের জাতীয় দিবস পালন করে থাকে। ১৯১১ সালের এই দিনটিতেই সেখানে উচাং সশস্ত্র অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল, যার মাধ্যমে চিং রাজবংশকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে চীন প্রজাতন্ত্রের জন্ম হয়। তাইওয়ানের জাতীয় দিবসের আগে মার্কিন তৎপরতা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

চীন বরাবরই বলে যাচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে না হলে জোর করে তাইওয়ানকে ‘মূল ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণে’ আনা হবে। প্রচুর যুদ্ধবিমান মোতায়েন রাখা হয়েছে তার দিকে তাক করে। এর মধ্যে আছে পারমাণবিক বোমা বহনকারী বিমানও। তাইওয়ানের উপকূল ঘেঁষে প্রায়ই চীনের নৌবাহিনী শক্তি দেখায়। চীনের এরকম শক্তি প্রদর্শনে তাইওয়ানের বড় ভরসা যুক্তরাষ্ট্র। 

আন্তর্জাতিক পরিসরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র ঠান্ডা যুদ্ধ যত প্রকাশ্য হচ্ছে, তাইওয়ান প্রণালিতে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি তত বাড়ছে। বিশ্বের অন্যতম উত্তেজক অঞ্চল যে এখন দক্ষিণ চীন সাগর, তা মূলত তাইওয়ানের কারণেও। সম্প্রতি তাইওয়ানকে ১৮০ মিলিয়ন ডলারের টর্পেডো দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে এসব অস্ত্র পাওয়ার পরও ভূখণ্ড ও জনশক্তির মতোই সামরিক শক্তিতেও চীনের তুলনায় নগণ্য তাইওয়ান। অর্থনীতি ভালো থাকায় সমর খাতে খরচ করতে সমস্যা নেই তাইওয়ান সরকারের। তারপরও সেটি চীনের তুলনায় সামান্যই। চীন প্রতিরক্ষা খাতে প্রতি বছর যা খরচ করে, তাইওয়ান তার ৫ ভাগ খরচ করতে পারে। এ দিয়ে সে যে আত্মরক্ষা করতে পারবে না, সেটি তাইপের ক্ষমতাসীন সরকার জানে। ফলে তার দরকার শত্রুর শত্রুকে। ওয়াশিংটন তাই তাইওয়ানের ‘কৌশলগত বন্ধু’।

তাইওয়ানকে নিয়ে চীনের নেতৃত্বের সাম্প্রতিক অতিরিক্ত উদ্বেগের বড় কারণ দ্বীপটির তরুণ প্রজন্মের মনমানসিকতা। মূল ভূখণ্ড থেকে রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্নতার ৭০ বছর পেরিয়ে গেছে ইতিমধ্যে। তাইওয়ানের আজকের তরুণ-তরুণীদের জন্ম হয়েছে একটি বহুদলীয় সমাজে ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মধ্যে। নিজ দেশ নিয়ে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গর্ব অনেক। অবলীলায় এখানে তারা প্রায় সব বিষয়ে মতামত প্রকাশ করতে পারছে, যা চীনে অসম্ভব। এই অবস্থা থেকে নবীনরা বেইজিংয়ের অধীন হওয়ার কথা ভাবতে পারেন না।

হংকংয়ে চীনের কর্তৃত্ববাদী আচরণও এদের চীনের সাথে একীভূত হতে অনিচ্ছুক করে তুলেছে। 

এই তরুণ-তরুণীরাই এখন তাইওয়ানের রাজনীতিতে চীন বিরোধিতার পাল্লা ভারী করেছেন। অনেকে তাদের জাতিগত চীনা ঐতিহ্যও অস্বীকার করতে চান এখন। চীনের দিক থেকে হুমকি-ধমকিও তাদের চীনা ঐতিহ্যের প্রতি বৈরি করছে, যার ফায়দা পাচ্ছেন সাই ইয়ং-ওয়েন ও তার প্রগ্রেসিভ পার্টি। চীনের প্রতি নমনীয় নীতির কারণে দেশটির এতদিনকার প্রধান রাজনৈতিক দল কুওটমিনটাংয়ের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। চীনের জন্য এটিও বড় আঘাত।

তাইওয়ানিজদের কাছে কুওমিনটাংয়ের আবেদন কমে যাওয়ার আরেকটি তাৎপর্য হলো- শান্তিপূর্ণ উপায়ে উভয় ভূখণ্ডের একত্র হওয়ার সুযোগ কমে যাওয়া। এ অবস্থায় চীনের এই উপলব্ধি অত্যন্ত সঠিক যে, দ্বীপটিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার এখনই হয়তো শেষ সময়। দিন যত যাবে, তাইওয়ানের বৈশ্বিক অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে ও দেশটির নতুন প্রজন্ম চীনের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য মেনে নিতে আপত্তি তুলবে। ২০২১ সাল তাই তাইওয়ানের জন্য একটি বিপজ্জনক বছর।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //