ফাঁসি

ফাঁসির দিন সকালে টুকটাক কিছু কাজকর্ম সেরে নিয়ে সকাল নয়টা-সাড়ে নয়টার মধ্যে আমি হাজির হয়ে যাই কারাগারের প্রধান ফটকে। যদিও আমাকে বলা হয়েছিল সকাল দশটায় উপস্থিত হওয়ার জন্য। আমি কিছুটা আগেই চলে এসেছি।

একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সময়ের কিছুটা আগেই উপস্থিত হয়ে যাওয়াটা বিধেয়। জামাকাপড় টুথব্রাশ টুথপেস্টের একটা ছোট্ট ব্যাগ গোছানোই ছিল। রেখে এসেছি, কেননা আজকের পর ওগুলোর আর বিশেষ কোনো দরকার আমার পড়বে না। একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করছিল। আমার ধারণা ফাঁসিটা শেষ পর্যন্ত হবে না। কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর জোগাড়যন্তর দেখে মনে হচ্ছে ফাঁসি আমার হবেই। আহ! ফাঁসি। কৈশোরে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুবরণ করাকে বেশ মহিমান্বিত বলেই মনে হতো। ইদানীং তেমনটা মনে হচ্ছে না। ঔপনিবেশিক সময়ে শাসকের গায়ে বোমা নিক্ষেপ কিংবা গুলি ছোড়ার অপরাধে অনেকের ফাঁসি হয়েছে। পরে খুন-ধর্ষণ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সশস্ত্র বিশৃঙ্খলা অনেক কারণে অনেকের ফাঁসির খবর কাগজে পড়েছি। কিন্তু আমি ওসব কিছুই করিনি। 

আমি একা নই। আমার সঙ্গে আরও বারো জন রয়েছে। আমিসহ মোট সংখ্যা তেরো। জেলগেটে ফয়েজ ভাই আমাকে রিসিভ করলেন। যথাসময়ে হাজির হয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানালেন। ফাঁসির আয়োজন পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ফয়েজ ভাই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বিএ (সম্মান), এমএ সম্পন্ন করে প্রথম দফার পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। মাঠ প্রশাসনে ভালো পারফর্ম করায় দ্রুত প্রমোশন পেয়ে এখানে এসেছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাচের ফাঁসির অনুষ্ঠান যথাযথভাবে পরিচালনা করেছেন। দায়িত্বটা শুনতে যতটা সহজ শোনায় বাস্তবে ততটা নয়। কেননা প্রতিটি ফাঁসি হতে হয় যথাসময়ে, যথানিয়মে। কয়েদিকে ভালোমন্দ খাইয়ে তওবা পড়িয়ে যমটুপি পরিয়ে মঞ্চে তোলা থেকে শুরু করে নিচে নামিয়ে হাত-পায়ের রগ কর্তন করে সুরতহাল, আত্মীয়-স্বজনের কাছে লাশের বাক্স হস্তান্তরের অবসরে খাতা-পত্র ফাইল আরও কত কী! ইদানীং ফাঁসি শুরু হয় সন্ধ্যায়, শেষ করতে করতে প্রায়-সকাল। রিপোর্ট লিখে লাশ হস্তান্তর পর্যন্ত বিকেল। এই পুরো সময়টা ফয়েজ ভাইকে নির্ঘুম থাকতে হয়। অথচ হলে থাকতে ফয়েজ ভাই একজন ঘুমকাতুরে মানুষ ছিলেন বলে আমরা জানতাম। ফয়েজ ভাইয়ের জন্য কিছুটা দুঃখ হচ্ছে। তবে তিনি নিজে এই বিষয়ে খুব একটা ব্যথিত নন বলেই মনে হয়। এমন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ক্লান্ত-ব্যথিত চিত্তে পালন করা হয়তো সম্ভবও নয়। 

জেলের ভেতরে থাকতে একদিন বিকেলে বাগানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ফয়েজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়। ফাঁসির পরবর্তী ব্যাচের যে তালিকা তাতে যে আমার নাম আছে, সেটা আমি ফয়েজ ভাইয়ের কাছেই প্রথম জানতে পারি। এই জানানোটা ছিল আন-অফিসিয়াল, আমি তার স্নেহের অনুজ বিধায় বিধিবহির্ভূতভাবে বিষয়টি তিনি আগেই আমাকে জানিয়েছেন। তারপর নিয়মিতই তার সঙ্গে আমার দেখা হতে থাকে। উনি নিজ থেকে আমার খোঁজও নিতেন। শুরুর দিকে দায়িত্ব পালনে তার কিছুটা অসুবিধা হচ্ছিল, সেসবও তিনি গল্পে-গল্পে আমাকে জানিয়েছেন। 

কনডেম সেল অন্য সেলগুলো থেকে একটু আলাদা, এখানে অপেক্ষাকৃত ভালো খাবার দেওয়া হয়। আমাকেও কিছুদিন আগে থেকে, এমনকি খবরটা ফয়েজ ভাই আমাকে জানাবারও পূর্ব থেকে ভালো খাবার পরিবেশন করা হচ্ছিল। যদিও বিষয়টাকে আমি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলাম। দেশে নতুন সরকার এসেছে, খাদ্যাভাব কেটে গেছে, এমন খবরাখবর ভেতরে থেকেই জানতে পারছিলাম। ফলে ভালো খাবারের বিষয়টাকে আমি দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলাফল হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম।

ফয়েজ ভাই দায়িত্ব নেওয়ার পর কনডেম সেলের খাবারের মান না বদলালেও পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা না করে তার হাতে বিশেষ কোনো বিকল্প ছিল না। কেননা দুবেলা ভরপেট খেয়ে-খেয়ে ফাঁসির আসামিগুলোর ওজন বেড়ে যাচ্ছিল। আপনি চাইলেই যেভাবে ঝুড়ি ভর্তি মুরগি থেকে একটা-একটা করে বেছে নিয়ে জবাই করেন ফাঁসির ক্ষেত্রে তেমনভাবে যখন-তখন কম ওজনের আসামি ধরে ঝুলিয়ে দিতে পারবেন না। কেননা ফাঁসি কার্যকরের বিধিবদ্ধ প্রটোকল রয়েছে। ওটা হতে হবে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, যথাসময়ে-যথানিয়মে, যেটা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। যা-হোক, যে দণ্ডিতকে নিয়ে ফয়েজ ভাই ঝামেলায় পড়েছিলেন তার কথা একটু বলি, লোকটার বাড়ি ছিল ময়মনসিংহের জামালপুর এলাকায়। এমনিতে একটু পেটুক স্বভাবের, তারপর কীভাবে যেন তার ফাঁসির তারিখ বার বার পেছাচ্ছিল। ভালো এবং পরিমাণে যথেষ্ট খেয়ে দেয়ে লোকটার ভুঁড়ি গিয়েছিল বেড়ে, পক্ষান্তরে তার গলাটা রয়ে গিয়েছিল আগের মতোই শীর্ণকায়। লোকটা ছিল বেদম গোঁয়ার, খুন-রাহাজানি সর্বোপরি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। অভিযোগগুলো প্রমাণও হয়েছিল। ফাঁসির দু-একদিন আগে থেকেই লোকটার গোঁয়ার্তুমি আরও বেড়ে গিয়েছিল। সেদিন সে একদমই কো-অপারেট করছিল না। মঞ্চেই যেতে চাচ্ছিল না। চারজন কালা সিপাই এবং দুজন জল্লাদ কোমরে দড়ি বেঁধে টানতে-টানতে তাকে মঞ্চে নিয়ে আসে। যাবার সময় পুরোটা পথ ‘আমি কিছু করি নাই, আমি কিছু জানি না’ বলে গগনবিদারী চিৎকারে লোকটা পুরো কারাগার সরগরম করে তোলে। এমন চিৎকার যদিও অনেকেই করে, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে কান দিলে চলে না। 

তবে আসল গোলটা বাধে লোকটাকে ঝোলানোর পর। রজ্জু গলায় পরিয়ে হাতল ঘোরাতেই লোকটার শীর্ণ গলা ছিঁড়ে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ও-তো ফাঁসিতেই মরবে, অর্থাৎ মরবেই। ফলে সাধারণভাবে দেখতে গেলে এটা এমন কিছু নয়। কিন্তু সরকারি নিয়ম-কানুন প্রক্রিয়া সব অক্ষুণ্ণ রাখতে গেলে এটা একটা মারাত্মক ব্যত্যয়। তারপর মানুষের গায়ে যে এত রক্ত থাকতে পারে সেটিও নাকি ফয়েজ ভাই জানতেন না। রক্তে পুরো মঞ্চ ভেসে যায়। বেদি তলিয়ে যায়। এ দৃশ্য দেখে প্রধান জল্লাদ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে নিয়ে যেতে হয় কারগারের হাসপাতালে। অনেকটা সময় চলে যায় কেবল রক্ত পরিষ্কারে। রক্ত পরিষ্কার করে মঞ্চ-বেদি ঠিকঠাক করে সহকারী জল্লাদকে দিয়ে অবশিষ্ট ফাঁসি কার্যকর করতে পরের দিনের সূর্য উঠে যায়। এভাবে যথাসময়ে সূর্য উদিত হওয়ার বিষয়টি ফয়েজ ভাই এবং অপরাপর সরকারি লোকেরা ভালোভাবে নেয়নি। কিন্তু কিছু করারও থাকে না। সূর্য সরকারি নিয়ম মেনে উদিত হয় না। এমনকি অস্তও যায় না।

ফয়েজ ভাই সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেন সরকারি হাসপাতাল থেকে একজন ভালো সার্জারির ডাক্তার ডেকে মুণ্ডুটাকে যে কোনোভাবে ধড়ের সাথে জুড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে। সিভিল সার্জন সে মোতাবেক একজন ডাক্তার ডাকেন বৈ-কী। কিন্তু লোকটার ঘাড়ের রগগুলো ছিঁড়েছিল বড্ড অবিন্যস্তভাবে। ফলে জোড়া দেওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনের কানে কীভাবে যেন পৌঁছায়। ফয়েজ ভাই কারণদর্শানো নোটিশের উপযুক্ত জবাব প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। কিন্তু কেন যেন এ ঘটনায় তাকে আর কারণদর্শাতে হয়নি। সে ঘটনা থেকে ফয়েজ ভাই যথেষ্ট শিক্ষা অর্জন করেছেন এবং কনডেম সেলে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন।

কর্তব্যনিষ্ঠ ফয়েজ ভাই আমার উপর আস্থা রেখেছিলেন বলেই কারাগার থেকে একজন ফাঁসির আসামিকে তিন দিনের ছুটি দিয়েছিলেন। আমি তার অন্যথা করিনি। অন্যায় যেটুকু করেছি তা আমার পরিবারের সাথে। নিরুদ্দেশ থাকার দিনগুলো বিষয়ে পরিবারকে আমি কোনো ব্যাখ্যা দিইনি। তিন দিনের পুরোটা জুড়ে পারিবারিক দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেছি।

জেলগেট থেকে ফয়েজ ভাইয়ের সাথে হাঁটতে-হাঁটতে আমরা কারাগারের পশ্চিম ভবনের ছাদে এসে উঠি। সেখান থেকে কারাগারের ভেতরটা খুব ভালোভাবে দেখা যায়। আমরা দেখতে থাকি। ফাঁসির বেদির দিকে তাকিয়ে আমার ঐ মুণ্ডু ছিঁড়ে পড়ে যাওয়া লোকটার কথা স্মরণ হয়। আমার ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটতে পারে কি না তেমন একটা ভাবনা ভেতরে উঁকি দেয়। ফয়েজ ভাইকে জানাই সে কথা। ফয়েজ ভাই আমাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণের পর এমন কিছু না ঘটার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। আমি যে একজন উত্তম নাগরিক সেটাও আমাকে জানান। কেননা একজন উত্তম নাগরিকের কর্তব্য হলো কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া এবং তদনুযায়ী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করা। সেসব গুণ আমার ভেতর পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান বলে ফয়েজ ভাই আমাকে জানান। 

দূর থেকে বেদিতে বাঁধা রজ্জু আমার চোখে পড়ে, রজ্জুটাকে চিকন বিষধর সাপের মতো মনে হয়। এই রজ্জুতে ঝুলে পড়ার পর আমার শীর্ণ কণ্ঠ বেমালুম ছিঁড়ে যাবে বলে আশঙ্কা হয়। আর সেটা যেহেতু ছিঁড়বে অবিন্যস্তভাবে এবং তা আর জোড়া দেওয়া যাবে না। আমার মৃত শরীরের এমন দশা মা কিছুতেই মানতে পারবেন না বলে মনে হয়। মায়ের কথা মনে পড়তেই আরও একটি অসমাপ্ত কাজের কথা আমার মনে পড়ে যায়। কার্তিক চলে গেছে, অগ্রহায়ণ সমাগত। কিছুদিনের মধ্যেই শীত নামবে। মায়ের চাদরটা বড্ড পুরনো হয়ে গেছে। মা জানিয়েছে সে কথা আমাকে। কিন্তু মাত্র তিন দিনে আমাকে অনেক কাজ করতে হয়েছে। এমনকি রাতগুলো জেগে থেকে আমি আমার বইয়ের সংগ্রহটা মোটামুটি গুছিয়ে রেখে এসেছি। এমনভাবে গুছিয়েছি যেন আমার স্কুলপড়ুয়া ছেলে বাম দিক থেকে পড়া শুরু করলে বয়স এবং ক্লাসের সাথে খাপখাইয়ে ডানদিকে এগিয়ে যেতে পারে। এবারে আরও একটি কর্তব্য আমার মনে পড়ে যায়। ছেলের স্কুলের বকেয়া বেতনগুলো পরিশোধ করা হয়নি। ব্যাংকে যা আছে তা দিয়ে ওটা শোধ করা যাবে। তবে আমার অবর্তমানে ডেথ সার্টিফিকেট, ওয়ারিশন, সাকসেশনসহ সবকিছু জোগাড় করে সেগুলো তুলে স্কুলে জমা করতে-করতে কয়েক মাস কেটে যেতে পারে। এই দীর্ঘ বকেয়া হেতু স্কুল থেকে আমার ছেলেকে বেরও করে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ। আমি অতি সংক্ষেপে ফয়েজ ভাইকে বিষয়টা জানাই। ফয়েজ ভাই কানে তোলেন না। আমি তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি, যেটুকু বেলা অবশিষ্ট আছে তাতে ব্যাংক থেকে নিউমার্কেট তারপর ছেলের স্কুল হয়ে সূর্য ডোবার আগেই আমি ফিরে আসতে পারব। ফয়েজ ভাই আমার এ কথাকে বাকোয়াজ মনে করেন। আমি তাকে বলি, নিউমার্কেট থেকে মায়ের জন্য চাদরটা কিনে আমি বিশ্বস্ত কারও কাছে রেখে আসব। বাসায় যাব না, ফলে দেরি হওয়ার সুযোগ নেই। জবাবে ফয়েজ ভাই বলেন, কারাগারে আমার জন্য বরাদ্দকৃত দুপুরের খাবার অপরাপর আসামির সঙ্গে বসে খেতে হবে। ঊর্ধ্বতন ভিজিটে আসতে পারেন। ফয়েজ ভাই আমাকে আরও জানান, আজকের প্রথম ফাঁসিটা আমারই। যদিও তালিকা অনুযায়ী আমার সিরিয়াল নম্বর সাত। স্নেহবশত তিনি আমার কাজটা আগেই সেরে দিতে চান। কেননা বেঞ্চে বসে একের পর এক ফাঁসির আনুষ্ঠানিকতা দেখতে দেখতে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করার অভিজ্ঞতা সুখকর না হওয়ারই কথা। এবং কেবল আমার জন্য, আমারই কথা ভেবে তিনি আমার সিরিয়ালটি এক নম্বরে দিয়েছেন। বিষয়টি ক্ষুদ্র হলেও ক্ষমতার অপব্যবহার অর্থে এটি একটি দুর্নীতি। 

আমরা হাঁটতে হাঁটতে জেলখানার ছাদের কিনারায় পৌঁছে যাই। কণ্ঠে কিছুটা দৃঢ়তা নিয়ে বলি, ফয়েজ ভাই, আমি কোনো অপরাধ করিনি। কেবল কর্তৃপক্ষের অনুগত নাগরিক হওয়ার জন্য আমি ফাঁসির রজ্জু গলায় পরতে রাজি নই। আমাকে ক্ষমা করবেন, আমার মনে হয় এই ক্ষেত্রে পালাবার স্বাধীনতা আমার রয়েছে। আমি পালাচ্ছি। একথা বলে, ছাদের উপর থেকে পূর্ব দিকে মুখ করে আমি লাফিয়ে পড়ি; যেদিকে সূর্য ওঠে। লাফিয়ে পড়তে পড়তে একটি গুলির শব্দ শুনতে পাই।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //