কবি-সাংবাদিক আবুল হাসনাত আর নেই

শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘কালি ও কলম’র সম্পাদক আবুল হাসনাত (৭৫) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

আজ রবিবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮ টায় রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আবুল হাসনাত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। তাকে ১৪ অক্টোবর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসনাতের মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হবে। বেলা আড়াইটার দিকে তার মরদেহ ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে বেঙ্গল গ্যালারিতে নেয়া হবে। বাদ আসর ধানমন্ডির ৭ নম্বর মসজিদে আবুল হাসনাতের জানাজা শেষে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

১৯৪৫ সালের ১৭ জুলাই পুরান ঢাকায় জন্ম নেন আবুল হাসনাত। তিনি মাহমুদ আল জামান নামেও লেখালেখি করতেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘জ্যোৎস্না ও দুর্বিপাক, 'কোনো একদিন ভুবনডাঙায়’, ‘ভুবনডাঙার মেঘ ও নধর কালো বেড়াল’।

তার প্রবন্ধগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সতীনাথ, মানিক, রবিশঙ্কর ও অন্যান্য ও জয়নুল, কামরুল, সফিউদ্দীন ও অন্যান্য। শিশু ও কিশোরদের নিয়ে রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘ইস্টিমার সিটি দিয়ে যায়’, ‘টুকু ও সমুদ্রের গল্প’, ‘যুদ্ধদিনের ধূসর দুপুরে’, ‘রানুর দুঃখ-ভালোবাসা’।

তিনি দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকী দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সুনামের সাথে সম্পাদনা করেন। আমৃত্যু তিনি সাহিত্যপত্রিকা ‘কালি ও কলম’-এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একইসাথে চিত্রকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘শিল্প ও শিল্পী’রও তিনি সম্পাদক।

১৯৮২ সালে টুকু ও সমুদ্রের গল্পের জন্য পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার। ২০১৪ সালে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলো।

আবুল হাসনাতের স্ত্রী নাসিমুন আরা হক সাংবাদিক। তিনি বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি। তাদের একমাত্র মেয়ের নাম দিঠি হাসনাত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী।