রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ, বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও একুশে পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের মারা গেছেন। শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
সংসারত্যাগী সত্যপ্রিয় মহাথেরের প্রকৃত নাম বিধুভূষণ বড়ুয়া। প্রবীণ এ বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ২০১৫ সালে সমাজসেবায় একুশে পদক পান। তিনি ১৯৩০ সালের ১০ জুন কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পশ্চিম মেরংলোয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা প্রয়াত হরকুমার বড়ুয়া ও মাতা প্রেমময়ী বড়ুয়া।
রামু সীমা বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের ১৯৫০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরেক বৌদ্ধ মহাপুরূষ বিনয়াচার্য আর্যবংশ মহাথেরর কাছে প্রব্রজ্যা গ্রহণ (গৃহজীবন ত্যাগ) করে সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হন। এর ৬ মাস পরই পবিত্র মাঘী পূর্ণিমার দিনে তিনি উপ-সম্পদা (ভিক্ষুত্ব) গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অসাধারণ সাহসী ভূমিকা রাখেন শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের। যুদ্ধ চলাকালীন তিনি এলাকার সহস্রাধিক অসহায় ও নির্যাতিন মানুষকে ঐতিহ্যপূর্ণ পুরাতন কাঠের সীমা বিহারে আশ্রয় দেন। এ নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বাকবিকণ্ডা হয় এ বৌদ্ধ ভিক্ষুর।
দেশের সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কক্সবাজারে রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও পটিয়ার লাখেরায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার পর গৌতম বুদ্ধের সাম্য-মৈত্রী ও অহিংসার বাণীকে সর্বময় ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সত্যপ্রিয় মহাথেরের। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনস্থাপনসহ বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অন্যন্য ভূমিকা পালন করছেন তিনি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : সত্যপ্রিয় মহাথের একুশে পদকপ্রাপ্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh