আইসিসিতে নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন

গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি, পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ারেরসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান।

গতকাল সোমবার (২০ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সাংবাদিক ক্রিশ্চিয়ান আমানপোরকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে করিম খান এসব কথা জানান। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনের বিষয়টি ঘোষণা দেন তিনি।

এই তালিকায় থাকা অন্যান্যরা হলেন- হামাসের অপর দুই শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং মোহাম্মেদ আল মাসরি ওরফে দেইফ আল মাসরি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত।

এ প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, গত ৭ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য নেতানিয়াহু-হানিয়াসহ এই ৫ জন মূলত দায়ী। গত ৭ মাসে গাজায় যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, সেসবের জন্যও দায়ী এই ৫ জন। এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের প্রধান কারণ এটিই। 

উল্লেখ্য, বিশ্বের যে ১২৪টি রাষ্ট্র আইসিস নামের স্থায়ী বৈশ্বিক আদালতকে স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় ইসরায়েলের নাম নেই। তেমনি নাম নেই যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ারও। তাই ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি এমন সব দেশে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং বাকি তিন জনের কোনো ঝুঁকি নেই।

তাছাড়া আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতা আদালতটির নেই। তবে মূল সমস্যা হলো, একবার যদি আইসিসি পরোয়ানা জারি করে— তাহলে তা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এই আদালতকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোতে সফর করা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হবে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং তালিকার অপর তিন জনের জন্য। কারণ সেক্ষেত্রে সেসব দেশের সরকার চাইলেই আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে আমলে নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ আইসিসিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আইসিসিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য বেনি গান্টজ রয়টার্সকে বলেন, ‘একটি রক্তপিপাসু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর (হামাস) সঙ্গে আমাদের এক করে দেখা হয়েছে। আমরা আইসিসির এ অবস্থান প্রত্যাখ্যান করছি।’

অন্যদিকে হামাসের মুখপাত্র আবু জুহরি এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, হত্যাকারী এবং হত্যার শিকার কখনও সমান অপরাধী হতে পারে না; কিন্তু আইসিসি সেভাবেই বিষয়টি দেখছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //