নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২০, ০৩:৫৭ পিএম
বন্যা মোকাবেলায় সরকারকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এই আহ্বান জানান।
বন্যা মোকাবেলায় দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে মনে করি, এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা আওয়ামী লীগের ভঙ্গুর আর দুর্নীতিবাজ প্রশাসন দিয়ে সম্ভব না। সরকারকে বলব, একগুয়েমি বাদ দিয়ে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিন। বন্যা দুর্গতদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করুন, স্কুল কলেজের বাঁধের উপর আশ্রয় নেয়া বানভাসি পরিবারগুলোর জন্য লঙ্গরখানা খুলুন।
বন্যা কবলিত এলাকায় কৃষকদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করে নগদ অর্থ প্রদান, বিনামূল্যে বীজ ও বীজতলা তৈরি ট্রে সরবারহ, সরকারি খামারিদের গবাদি পশুর জন্য আলাদা আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন, গো-খাদ্যের সংকট নিরসন এবং এলাকাভিত্তিক ত্রাণ বণ্টনের ব্যবস্থা করার দাবিও জানান রিজভী।
এই বিএনপি নেতা বলেন, বন্যার পানি বাড়ছে প্রতিদিনই, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। হাঁস-মুরগি আর গবাদি পশু নিয়ে বন্যাকবলিত মানুষরা পড়েছেন মহাবিপদে। দুর্গতরা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার ও জ্বালানির সংকটে ভুগছে। ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ বানভাসি মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি। সরকারি ত্রাণ তৎপরতা এখনো অনেকটাই প্রচারসর্বস্ব ফাঁপা আওয়াজ।
সরকার চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিচ্ছে দাবি করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নানা অজুহাতে এই বছর চামড়ার দাম কমানো হয়েছে গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৯ শতাংশ। চামড়ার মূল্য না থাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়েছে চামড়ার বাজার। দামে ধস নামায় প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি এই টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গরিব ও এতিম জনগোষ্ঠী। করোনার কারণে চামড়া নিয়ে সেই সংকট আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যেভাবে পাট শিল্পকে ধবংস করা হয়েছে, ঠিক সেইপথেই ধ্বংস করা হচ্ছে দেশের ট্যানারি শিল্প। সরকারের ভেতরে একটি মহল সিন্ডিকেট করে কওমি মাদরাসা এবং চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে নিজেরা ফয়দা লুটতে চায়।