বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২০, ০৮:৫৩ পিএম
ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
বরিশালে ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৩টি পরিবারকে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি ঝড়ে বিধ্বস্ত ১০টি ঘর মেরামত করে দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
গত ২০ মে দেশের অন্যান্য উপকূলীয় জেলার ন্যায় বরিশালেও আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন আমফান। এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় লণ্ডভণ্ড হয় বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল।
এদিকে, আমফানের পূর্ভাবাস পেয়েই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয় বরিশালের শেখ হাসিনা সেনানিবাস তথা ৭ পদাতিক ডিভিশন। তারা ঘূর্ণিঝড়ের শুরু থেকেই বেশ তৎপর ছিলেন।ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৬ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৬২ ইস্ট বেঙ্গলের নেতৃত্বে বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলায় একটি করে মোট ১০টি (ডিএমটি) দুর্যোগ মোকাবেলা দল ও একটি স্পেশাল দল গঠন করা হয়। তারা ঘূর্ণিঝড় কবলিত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
শুধু ঘূর্ণিঝড়ের সময়েই নয়, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ব্যবস্থাপনাতেও দেখা মিলেছে দুর্যোগ মোকাবেলায় গঠিত ৬ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৬২ ইস্ট বেঙ্গলের নেতৃত্বাধীন দলের কার্যক্রম।
আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত বরিশাল জেলার ১৪৩টি পরিবারের হাতে শুকনো খাদ্যসামগ্রী ও অর্থ তুলে দিয়েছেন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ১০টি ঘর মেরামত করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সদস্যরা। আর এই মেরামত কাজের তত্ত্বাবধান করেন ৬২ ইস্ট বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন আশ্ফান।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী বরিশাল জেলায় ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮ লাখ মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ঘর-বাড়ি। ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ক্ষতিকর প্রভাবের পাশাপাশি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছের ঘের ও খামার।