আয়েশা মজুমদার
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২০, ১২:০০ পিএম
আয়েশা মজুমদার।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে আমি ডিপ্রেশনে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন বেশ অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম। ডাক্তার ও বন্ধুদের সহযোগিতা ও চিকিৎসায় একসময় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসি..। মাস্টার্স শেষ করি, এমবিএ করি এবং পাশাপাশি কাজে মনোনিবেশ করি। এই করোনা সময়ের পূর্বেও আমার মনে খুবই দুঃখ ছিলো, চিকিৎসক না হতে পারার জন্য।
এখন মনে হচ্ছে, আমার সাত পুরুষের পূণ্য ছিলো বলেই আমি সেদিন মেডিকেলে চান্স পাইনি। চিকিৎসক হওয়ার জন্য একজন ছাত্র/ছাত্রীকে কি পরিমাণ কষ্ট যে করতে হয়! ছাত্র অবস্থায় তাদের কোনো পারিবারিক বা সামাজিক জীবন থাকে না।
আমার কাছের বন্ধুদের এবং পরিবারে নতুন পাশ করা ডাক্তার ভাগনিকে দেখেছি এই অবর্ণণীয় সময়ের মাঝ দিয়ে যেতে। যে দেশে একজন চিকিৎসকের মূল্য একজন ফতোয়াবাজ হুজুরের চেয়ে কম, সে দেশে আর যেন কোনো ছাত্র/ছাত্রী আর যাই হউক চিকিৎসক হতে না চায়।
আমার চিকিৎসক হতে না পারার কষ্ট মন থেকে মুছে গেলো।
লেখাটি আয়েশা মজুমদারের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া হয়েছে।