ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:০৬ পিএম
দেশে ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা বলার সাম্প্রতিক প্রবণতার কড়া সমালোচনার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা বলে, তাদের প্রতি করুণা হয় বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ করতে হলে, ব্যবসা বাণিজ্য, সাহিত্য সম্পর্কে জানতে সেখানে অন্য ভাষা শেখারও প্রয়োজন আছে। কিন্তু মাতৃভাষা বাদ দিয়ে নয়। বাংলাদেশের মাটিতে থেকে যারা বাংলা ভাষা ভুলে গিয়ে বা বাংলা ভাষাকে বাংলা ভাষার মতো বলতে পারে না। তাদের প্রতি করুণা ছাড়া আর কিছু নেই।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ভাষাবিদ অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পরিবারের অনেককে ছোটবেলায় বিদেশে থাকতে হয়েছে। তবু আমরা তাদেরকে বাংলাটা গুরুত্ব দিয়ে শিখিয়েছি। যেন তারা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারে এবং তারা বলেও। তাদের উচ্চারণে যদি কোনো সমস্যা হয় সেখানে দোষ ধরার কিছু নেই। আমার বরং নিজের দেশের, নিজের গ্রামের কথা বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ্য। বক্তৃতায় আমরা গোপালগঞ্জের ভাষা আর ঢাকার ভাষা মিলিয়েই বলি। কারণ ছোটবেলায় চলে এসেছি ঢাকা শহরে, সেই ভাষার প্রভাব। আর টুঙ্গীপাড়ার মাটিতে জন্ম নিয়েছি সেটা একটা প্রভাব, সব মিলিয়েই বলি। এর মাঝে কোনো লজ্জা নেই।
বাংলার আঞ্চলিক ভাষার সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয় ভাষণগুলোর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার ভাষণে একেবারে গোপালগঞ্জের শব্দগুলো তিনি বলে গেছেন অকাতরে যা মানুষের ভেতরে একটা আবেদন সৃষ্টি করেছে। তিনি খুব দ্রুত মানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে পেরেছেন। সে কারণে তিনি যখন নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে যারা ক্ষমতায় এসেছিল (বিএনপি) তারা এই ইন্সটিটিউটের কাজে আর গুরুত্ব দেয়নি। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আমি আবার শুরু করেছি। আমার জন্য এমন একটি কাজ রেখে দেওয়ার জন্য বিএনপি নেত্রীকে ধন্যবাদ।’