ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০২:১১ পিএম | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০২:৪৬ পিএম
আত্মজৈবনিক শিল্পী ফ্রিদা কাহলো।
সৃজনশীলতার জগতে এক অনন্য নাম চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। চিত্রকলার ইতিহাসে তিনি আত্মজৈবনিক শিল্পী হিসেবে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। জন্মেছেন মেক্সিকো সিটিতে, ১৯০৭ সালের ৭ জুলাই। তার বাবা মাগদালেনা কারমেন ফ্রিদা ও মা কাহলো ই ক্যালদেরোন।
জন্মের কয়েক বছর পর থেকে লড়েছেন কঠিন এক জীবনের সঙ্গে। জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে অসুস্থতার সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে। মাত্র ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হন। তার ডান পা চিকন হয়ে যায়। পায়ের পাতা বেঁকে যায়। দুঃসহ এক জীবন কাটাতে হয়েছে তাকে।
১৯২৫ সালে ঠিক ১৮ বছর বয়সে ফ্রিদার জীবনে ঘটে আরো এক বড় দুর্ঘটনা। মেক্সিকো সিটি থেকে কোরোকান যাওয়ার পথে হঠাৎ বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ ঘটনায় ফ্রিদা মারাত্মকভাবে আহত হোন। এ ঘটনায় ফ্রিদার কাঁধ, পাঁজরের দুটো হাড় ভেঙে যায়। এগারো টুকরা হয়ে যায় ডান পায়ের হাড়। পায়ের পাতা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
চরম এই দুর্ঘটনা ফ্রিদার জীবনে ঘোর অমাবশ্যা নিয়ে আসে। দুর্ঘটনার কারণে তাকে ৩২ বার অপারেশন করতে হয়।
জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত তাকে শিল্পের দিকে প্রচণ্ডভাবে ধাবিত করে। খুব অমানবিক হলেও সত্য চরম অসুস্থতা, দুঃখবোধ ফ্রিদাকে চিত্রশিল্পী হওয়ার পথে ধাবিত করেছে। তিনি তার ছবি আঁকার তুলিকে আরো শানিত করতে পেরেছেন হয়তো এ কারণেই।
ফ্রিদা কাহলো তার জীবনদশায় ১৫০-২০০ ছবি এঁকেছেন। তার ছবির ধরন ছিল পরাবাস্তব, শারীরিক- মানসিক ক্ষত, ব্যথা ও মৃত্যু।
চিত্রশিল্পী হিসেবে ফ্রিদার জীবন ছিল সফল। ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে তার চিত্রকর্মের প্রদর্শনী হতো। তিনি পেয়েছেন অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা। ১৯৪৩ সালে এডুকেশন মিনিস্ট্রিস স্কুল অব ফাইন আর্টসে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ফ্রিদা।
২২ বছর বয়সে ফ্রিদা ভালোবেসে ৪২ বছর বয়সী ম্যুরালশিল্পী দিয়েগো রিভেরাকে বিয়ে করেন। ফ্রিদা রিভেরার মধ্য দিয়ে তার অপূর্ণ জীবনের পূর্ণতা খুঁজে পেয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু তা টেকসই হয়নি।
চিত্রশিল্পী হিসেবে সফল এই শিল্পী অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ১৯৫৪ সালের ১৩ জুলাই মারা যান।
সৃজনশীল ও লড়াকু এই নারীর ৩০টি বিরল ছবি সাম্প্রতিক দেশকালের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১৯৩২ সালে আর্টিস্ট স্টুডিওতে ফ্রিদা কাহলো।
১৯ ৪৫ সালে ফ্রিদা
১৯৩৩ সালের ফ্রিদা