নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:৫১ পিএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০৪ এএম
রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, গোলাম রাব্বানী এবং সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া সংগঠনটির আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিদ্দিকী নাজমুল আলমের বিরুদ্ধেও তদন্তে নেমেছে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, শুধু ছাত্রলীগের এই তিন নেতার বিরুদ্ধেই নয়, শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। এর মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপসহ ৪ জন সংসদ সদস্য, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৫ কাউন্সিলরসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।
অনুসন্ধান টিমের প্রাথমিক তদন্তে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপ্রদর্শিত ও অবৈধ সম্পদের তথ্য হাতে পেয়েছে দুদক। সে অনুযায়ী, এবার অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি।
গত ৩০ অক্টোবর প্রভাবশালী ২৩ ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয় দুদক। হিসাবগুলো আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, যুবলীগের সম্রাট, জি কে শামীম, খালেদসহ অন্যান্য ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের এ তালিকায় আছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমও।
এ সংক্রান্ত সব তথ্য চেয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মহাব্যবস্থাপকের কাছে চিঠি দেয়া হয়।
এ অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ (ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) চার শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।