ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১২:১৭ পিএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০১:৩৯ পিএম
১৯৬১ সালের আগস্ট থেকে ১৯৮৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ২৮ বছর দুই মাস ২৭ দিন বার্লিনকে বিভক্ত করে রেখেছিল বার্লিন প্রাচীর।
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর র্জামানির বার্লিন প্রাচীরের পতন হয়। তারও এক বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণ সম্পন্ন হয়।
প্রাচীর ভাঙার ধ্বংসযজ্ঞ চলেছিল দুই রাত ধরে। প্রাচীর ভাঙার আনন্দে কেউ হেসেছে, কেউ কেঁদেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে প্রাচীর গোটা জার্মানিকেই মানসিকভাবে দ্বিখণ্ডিত করে রেখেছিল, সেই প্রাচীর ভাঙার আনন্দে হাজার হাজার পূর্ব আর পশ্চিম বার্লিনবাসী প্রাচীর পেরিয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করেছিল।
সেই সময়টা পার হওয়ার পর এক সময় পূর্ব জার্মানি তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। আজও পশ্চিমে বাস করা প্রায় ২০ শতাংশ জার্মান কখনো পূর্বে যায়নি।
চলতি বছর বার্লিন প্রাচীর পতনের ৩০ বছর পূর্ণ হলেও উভয় অংশের জনগণের চিন্তাচেতনার প্রাচীর এখনো ভেঙে পড়েনি।
বার্লিন প্রাচীর ছিল ১৬১ কিলোমিটার। এই ১৬১ কিলোমিটার পুরোটাই প্রাচীর ঘেরা ছিল, তা নয়। নদী ও বনবাদাড় সীমান্ত কাঁটাতারে ঘেরা। ছিল পুলিশ পাহারা, টহল, আধ কিমি দূরে দূরে ওয়াচ টাওয়ার।