পিটিয়ে শ্রমিকের পা ভাঙলেন যুবলীগ কর্মী!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:০৫ পিএম | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:১৯ পিএম

আশুলিয়ায় মাতাল অবস্থায় রবি নামের এক শ্রমিককে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী রাজন ভুইয়া ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। কোনো কারণ ছাড়াই পেটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই শ্রমিক। এ ঘটনায় ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর ওই শ্রমিক আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আহত শ্রমিক রবি জানান,  ৮ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে নরসিংহপুর এলাকার হামিম গার্মেন্টসের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও জানান, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন তিনি। দুই মাস আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে দেন। কিছু দিন আগে থেকে তিনি ফের চাকরির খোঁজ শুরু করেন। চাকরির সন্ধানে ঘটনার দিন রাতে হামিম গার্মেন্টসের পাশের এলাকায় তার এক সহকর্মীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যুবলীগ কর্মী রাজন ভুইয়া, রাসেল, মাসুদ ওরফে পালসার মাসুদসহ কয়েকজন মদ খেয়ে মাতলামি করছিলেন। তখন হঠাৎ করেই তারা তাকে ডেকে নিয়ে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে রবি প্রতিবাদ করলে তারা তাকে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে টাঙ্গাইলের একটি গাড়িতে তুলে দিয়ে জামগড়া এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশও দেয় রাজনের লোকজন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রাজন। অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়েছে তার। এছাড়াও প্রায় রাতে মদ খেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাতলামি করেন তিনি।

আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী রাজন মারধরের বিষয়টি স্বীকার করলেও পা ভেঙে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ‘রাজন যুবলীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়। তবে সে সংগঠনের কোনো পদে নেই। সম্পাদক পদের প্রার্থী। রাজন যেই হোক না কেন একজন শ্রমিককের পা ভেঙে দেয়ার অধিকার তার নেই।’

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh