নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৪৬ পিএম
ফাইল ছবি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড পরিবর্তনের দাবিতে সারাদেশে চলছে পূর্ণ কার্যদিবস কর্মবিরতি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের এ কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। আজ নিয়ে তিনদিন ধরে কর্মবিরতিতে রয়েছেন শিক্ষকরা। এর আগে গতকাল বুধবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। গত পরশু মঙ্গলবার ছিল এক ঘণ্টার কর্মবিরতি।
দাবি আদায় না হলে আগামী ২৩ অক্টোবর শিক্ষকরা রাজধানী ঢাকায় উপস্থিত হয়ে মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। এরপরও দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলনে নামবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনে শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে উপস্থিত হলেও স্যাররা ক্লাস করাবেন না শুনে অনেকে বাড়ি চলে গেছে। অনেককে আবার স্কুল মাঠে খেলাধুলা করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার ক্লাসের বেঞ্চে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিল।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেয়া হলেও তা আজো বাস্তবায়ন করা হয়নি। প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১ গ্রেড দিতে আমরা দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছি। কিন্তু পাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেড দেয়া হলেও সহকারীদের ১২তম গ্রেড দিতে বলা হয়। এটিও সরকারের পক্ষ থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ের প্রতিবাদ জানাতে আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলায় আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে আন্দোলয়ে যুক্ত হয়েছি। এতে সারাদেশের প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক যোগ দিয়েছেন। তবে কোথাও কোথাও কর্মসূচি পালনে প্রধান শিক্ষকরা বাধার সৃষ্টি করছেন। যদিও সব শিক্ষক এ আন্দোলনকে নীতিগতভাবে সমর্থন করেন।’
এদিকে বেতন বৃদ্ধি ও গ্রেড পরিবর্তন বিষয়ে শিক্ষকদের কোনো ধরনের আন্দোলনে যুক্ত না হতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এ আদেশ অমান্য করেই শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করছেন।
তবে আন্দোলনকারীদের মাঠপর্যায়ে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে জেলা-উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা। এ তালিকা ডিপিইতে পাঠানো হবে। ডিপিই থেকে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে বলে জানা গেছে। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি মোতাবেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।