এসি বাস ভাড়া: সাধারণ মানুষের আওতায় রাখতে হবে

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৯, ১০:২২ পিএম

ঢাকায় নতুন করে বেশ কিছু এসি বাস সার্ভিস চালুর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কমপক্ষে ৫০টি ব্যক্তিগত গাড়ির সমপরিমাণ যাত্রী বহন করতে পারে একটি বাস। তাই যানজট, জ্বালানি খরচ, পরিবেশদূষণ এবং আরামদায়ক বিবেচনায় এসি বাস সার্ভিসকে উৎসাহিত করা যেতেই পারে। তবে এখানে আরেকটি জরুরি বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে সাম্প্রতিক দেশকালের ১৯ সেপ্টেম্বর সংখ্যার ‘ঢাকায় চলবে এসি বাস; জীবনযাত্রার ব্যয় ঠেকবে কোথায়’ প্রতিবেদনে।

বর্তমানে এসি বাস চলছে সরকারি নীতিমালা ছাড়াই। বিআরটিএর নীতিমালা অনুযায়ী, সরকার-নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ১ টাকা ৭০ পয়সা। তবে এটা সাধারণ বাসের ক্ষেত্রে। এসি বাসের কোনো ভাড়া সংস্থাটি এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করেনি। এ সুযোগে মালিকরা নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া ঠিক করেছেন। যেমন রাজধানীর মতিঝিল থেকে বিমানবন্দর রুটের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘ওমামা’ পরিবহনটির বিরুদ্ধে শুরুতেই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। মতিঝিল থেকে বনানী ৫৫ টাকা ও বিমানবন্দর-উত্তরায় এলে ৭০ টাকা দিতে হচ্ছে। যেখানে বিআরটিসি এসি বাসের উত্তরা পর্যন্ত ভাড়া ৫৫ টাকা। একই অবস্থা আবদুল্লাহপুর থেকে রামপুরা ডিআইটি সড়ক হয়ে মতিঝিলে চলাচল করা এসি বাস ‘গ্রীন ঢাকা’সহ প্রায় সবকটি বাস সার্ভিসেরই।

গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণে সব ধরনের আয়ের মানুষের কথাই চিন্তা করতে হবে। কারণ আয়ের ২০ থেকে ২৫ শতাংই যদি যাতায়াতের পেছনে খরচ হয়, তাহলে তার সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও সরকার এ বিষয়টি বিবেচনায় নিলে আরামদায়ক গণপরিবহন ব্যবস্থা সাধারণের নাগালে চলে আসবে। 

মানুষকে যত বেশি গণপরিবহনে আকর্ষণ করা যাবে, এ শহরের সমস্যা ততই কমবে। তাই কর্তৃপক্ষকে শুধু বাসের অনুমোদন দেওয়া কিংবা বাতিলই নয়, সবার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেই নিতে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। নইলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে। টিকে থাকার জন্য মানুষকে অসদুপায়ের দিকে ঝুঁকতে হবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh