ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৯ এএম | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৪ এএম
টং ঘরের নাম শুনলেই মনে হয় রাস্তার পাশে ছোট টংয়ের দোকান। দিনভর আড্ডা। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। আজ যে টং ঘরের কথা বলছি, তা সেরকম নয়। চা প্রেমীদের জন্য মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এ গড়ে উঠেছে একটি টং ঘর। এটি অপরিচ্ছন্ন কোনো চায়ের দোকান নয়। এখানে রয়েছে শৈল্পিক ছোঁয়া। রয়েছে নন্দন তত্ব। পঁচাত্তর রকমেরও বেশি চা পাওয়া যায় এখানে।
মাত্র কয়েক বছরে টং ঘর কুঁড়িয়েছে বেশ সুনাম। দোকানের দেয়ালে লেখা আছে উপমহাদেশের চায়ের ইতিহাস। চায়ের জন্মকথাও জানা যায় এখান থেকে। বিপরীত দিকে রয়েছে কয়লায় আঁকা শহুরে জীবনের গল্প। দেয়ালে ছোট ছোট কবিতাও রয়েছে।
টং ঘরের মূল আকর্ষণ হলো এখানে মাটির কাপে চা দেওয়া হয়। অন্যরকম এক অনুভূতি জাগে মাটির কাপে চা পান করতে। সুলতান সুলেমান চা, আনারকলি চা, রজনীকান্ত চা, আকবরই চা, রিমিক্স চা, বাবু মশাই চা, অনন্ত জলিল চা ইত্যাদি বহু রকমের চা এখানে পাওয়া যায়।
এগুলো ছাড়াও রয়েছে র চা, দুধ চা, ওভালটিন চা, খেজুর চা, চকোলেট চা, ওরিও চা, চকোলেট বাদাম চা সহ আরো অনেক প্রকারের চা।
টং ঘর সম্পূর্ণরুপে ধূমপানমুক্ত চায়ের দোকান। এখানে মানুষ গল্প করতে করতে আড্ডা দিতে পারে। অভ্যন্তরীণ সাজও বেশ। আলোকসজ্জা ও নান্দনিক সকল ডেকোরেশন যেকোনো মানুষেরই ভালো লাগবে। আত্মীয় ও বন্ধুদের নিয়ে যেকোনো বিকেলে ঘুরে আসতে পারেন। এখানের চায়ের দামও সাধ্যের মধ্যে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে রিকশা কিংবা লেগুনায় নবোদয় হাউজিংয়ের একেবারে ঢালে চলে যেতে হবে। টং ঘরের অবস্থান নবোদয় হাউজিং এর শেষ মাথায় ও ঢাকা উদ্যানের ঢালে। নবোদয় হাউজিং ছাড়াও টং ঘরের আরো দুইটি শাখা রয়েছে। টং ঘরের দ্বিতীয় শাখা টাউন হল এবং তৃতীয় শাখা গ্রিনরোডে।