দেশপ্রেমের চশমা: স্কুলগুলো কবে বিদ্যালয় হবে?

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:২৩ পিএম | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অবনমন নিয়ে কম লেখা হয়নি। আমি নিজেও অনেক লিখেছি। নিম্নপর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যেমন লিখেছি, তেমনি উচ্চশিক্ষার সমস্যা নিয়েও লিখেছি। এসব লেখা প্রবন্ধাকারে, প্রকাশিত গ্রন্থে অধ্যায় হিসেবে এবং প্রকাশনা সংস্থা থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে।

এসব প্রকাশিত লেখায় সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনেক পরামর্শ দিয়েছি; কিন্তু ফল হয়নি। কেন ফল হয়নি, সে বিশ্লেষণ করা যায়; কিন্তু এখন তা করব না। তবে ফল যদি নাও হয়, তাহলেও লেখা বন্ধ করা ঠিক হবে না। কারণ, দেশের মঙ্গলের জন্য এসব বলে যেতে হবে। দেশের কল্যাণের জন্য এসব বলতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মঙ্গলের জন্যও এসব বলতে হবে।

স্কুল হল শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের ফাউন্ডেশন তৈরির জায়গা। শিক্ষার্থীরা যদি এ ফাউন্ডেশন তৈরি করতে না পারে তাহলে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ইমারত কোন ভিতের ওপর গড়ে উঠবে? প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি। প্রথমে যখন আশির দশকের গোড়ার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেছিলাম, তখন শ্রেণিকক্ষে যে মানের শিক্ষার্থী পেতাম, এখন তা পাই না।

তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে লেখাপড়ায় যে মনোযোগ লক্ষ করেছি, এখন তা করি না। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগ না থাকায় শিক্ষকদের মধ্যেও লেখাপড়া কমে গেছে। শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার আগে তাদের অনেকেই প্রস্তুত হয়ে যান না। কেন আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভালো মানের শিক্ষার্থী পাচ্ছি না? এর কারণ কী? এর কারণ হল, নিম্নপর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভালো শিক্ষার্থী তৈরি করতে পারছে না। স্কুল-কলেজে লেখাপড়া ভালো হচ্ছে না।

ভালো শিক্ষার্থী তৈরির প্রথম জায়গাটি হল প্রাইমারি স্কুল। এখানে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের ফাউন্ডেশন তৈরি হয়। সে কারণে ভালো শিক্ষার্থী তৈরির জন্য ভালো প্রাইমারি স্কুল দরকার। এসব স্কুলে ভালো শিক্ষক দরকার। তাহলে কলেজগুলো ভালো শিক্ষার্থী পাবে। আর কলেজগুলো ভালো মানের শিক্ষার্থী পেয়ে যদি তাদের তৈরি করে দেয়; তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো শিক্ষার্থী পাব।

ষাটের দশকে আমি যখন স্কুলে পড়তাম, তখন স্কুলে ভালো শিক্ষক পেয়েছি। তারা আমাদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন; আন্তরিকভাবে ক্লাস নিয়েছেন। আমার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের, এমনকি হাইস্কুলের অধিকাংশ শিক্ষকের নাম এখনও মনে আছে। তাদের অনেকেই আর ইহজগতে নেই। তবে দু-একজন এখনও বেঁচে আছেন। তাদের সঙ্গে দেখা হলে সালাম করি। পরিচয় দিলে খুবই খুশি হন।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কটা ওই সময় অনেক ঘনিষ্ঠ ছিল। স্কুল-কলেজে তখন বাণিজ্যের ঢেউ লাগেনি। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অনেক সময় দিতেন। তাদের সমস্যা শুনতেন; ব্যক্তিগত খোঁজখবরও নিতেন। কিন্তু এখনকার স্কুল শিক্ষকরা অনেকটাই ব্যস্ত থাকেন। তারা যথেষ্ট বাণিজ্যকেন্দ্রিক। শিক্ষার্থীদের সমস্যা শোনার তাদের সময় নেই। স্কুল শেষ করে তাদের কোচিং ক্লাসে যেতে হয়। সেখানেও শিক্ষার্থীদের পড়াতে হয়। বাড়তি উপার্জন করতে হয়। শিক্ষার্থীরা যাতে করে অধিক সংখ্যায় তার কোচিংয়ে পড়তে আসে, সে জন্য তাকে বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করতে হয়। অনেক শিক্ষক আবার নিজের কোচিংয়ে না এলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় কম নম্বর দেন।

একমুখী প্রাইমারি শিক্ষা সৃষ্টি করতে না পারায় নানা রকম শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল, আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসা, ইংরেজি মাধ্যমের বিদেশি ক্যামব্রিজ ও এডেক্সেল কারিকুলামের শিক্ষা, ন্যাশনাল কারিকুলাম ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, মিশনারি স্কুল, এনজিও পরিচালিত স্কুল এবং কূটনৈতিক মিশন পরিচালিত স্কুল। এত রকমের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে যে শিশুরা বড় হয়, তাদের চিন্তা-ভাবনা এক রকম হয় না।

এটা দেশের জন্য ক্ষতিকর। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষতিকর। একমুখী শিক্ষা, গণমুখী শিক্ষা, সৃজনশীল পদ্ধতিসহ অনেক রকম এক্সপেরিমেন্ট করেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্নপর্যায়ের শিক্ষা ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। পরিবর্তে যতই দিন যাচ্ছে, ততই শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ছে। অবনমন ঘটছে প্রাথমিক শিক্ষার। এ বিশৃঙ্খলা পাঠ্যক্রমের; এ অবনমন মানের। তবে অতি সম্প্রতি যে অবনমনটি সবচেয়ে বড় আকারে দেখা দিয়েছে তা হল, নৈতিক অবক্ষয়ের। প্রাইমারি স্কুলের মতো জায়গায় শিশুদের সঙ্গে শিক্ষকরা অনৈতিক আচরণ করছেন। মাদ্রাসার মতো প্রতিষ্ঠানে শিশুদের বলাৎকার করা হচ্ছে। স্কুলগুলোয় এসব হচ্ছেটা কী? শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী করছে? তাদের কি কোনো দায়-দায়িত্ব নেই? তারা কি পত্রিকা পড়েন না? এসব দেখেন না? প্রতিকারের জন্য কী করা হয়েছে?

মাত্র কিছুদিন আগে বহুল আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে মারার রেশ কাটার আগে স্কুল-মাদ্রাসায় যেন পাল্লা দিয়ে নৈতিক অবক্ষয় বাড়ছে। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ওয়ারী সিলভারডেল স্কুলের নার্সারি ক্লাসের ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মা, নেত্রকোনার কেন্দুয়ার মা হাওয়া কওমি মাদ্রাসার ৬ শিশু শিক্ষার্থী, ফতুল্লার বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার ১২ ছাত্রী, ভুরুঙ্গামারী সদরের নলেয়া মাঝিপাড়া ব্র্যাক স্কুলের এক ছাত্রী। বগুড়ার গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নের তেলিহাটা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সাইফুল রেজা হিরো নামের এক শিক্ষক স্কুলের অফিসকক্ষে এবং বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পরে গাবতলী থানা পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায় মাদ্রাসার কারি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান মুন্সিকে পুলিশ আটক করে। জয়পুরহাট শহরের আরামনগর হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ পেলে মাদ্রাসা বন্ধ করে পালিয়েছে শিক্ষক।

সাভারের আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বটতলা এলাকার ক্রিয়েটিভ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা স্কুলে কোচিং করতে রাজি না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক মারধর করে তাকে তার মাসহ আটকে রাখেন। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাহিরননেছা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী বাবার বয়সী মাদ্রাসার সুপার মিজানুর রহমানের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এ জন্য ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে টিসি দিয়ে বের করে দিয়েছেন মাদ্রাসার সুপার। কুলাউড়া উপজেলার রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে অর্ধউলঙ্গ করে ছবি তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইয়ুব উদ্দিন। এ শিক্ষক ছাত্রীর ছবিগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন।

আমাদের কোমলমতি স্কুলছাত্রীরা কোথাও নিরাপদ নয়। স্কুলে শিক্ষকদের হাতে তারা লাঞ্ছিত হচ্ছে। আর বাড়ি থেকে স্কুলে এবং স্কুল থেকে বাড়ি আসা-যাওয়ার পথে বাইরে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে গ্যাং গ্রুপের সদস্য এবং বখাটেরা। যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে যতভাবে হেনস্তা করা যায়, তা করতে তারা দ্বিধা করছে না। স্কুলে শিক্ষকের নির্যাতন আর বাইরে বখাটের অত্যাচারে বিশেষ করে স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্রীদের জীবন আজ দুর্বিষহ।

উদাহরণ উল্লেখ করতে গেলে প্রবন্ধের আকার বড় হবে। এই তো এ মাসেই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মালাকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে প্রেম নিবেদনে ব্যর্থ হয়ে বখাটেরা তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে (যুগান্তর, ০৭-০৯-২০১৯)। বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মালা এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। স্কুলজীবন হল আনন্দের সঙ্গে হেসে-খেলে লেখাপড়া শেখার জীবন।

একজন ছাত্রীকে যদি স্কুলে এবং স্কুলের বাইরে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হয়, জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয়; তাহলে সে কীভাবে লেখাপড়া করবে? কীভাবে নিজের ও পরিবারের স্বপ্নপূরণ করবে? কীভাবে নারীর ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখবে?

বাচ্চা বয়সের কিশোররা এত সাহস পায় কী করে? কীভাবে তারা একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে? একতরফা প্রেম নিবেদন করে সাড়া না পেয়ে একটি ছাত্রীর মুখ বিষ ঢেলে দিতে পারে? এ কোন সমাজে বসবাস করছি আমরা? এভাবে কি স্কুল চলে? শহর, গ্রাম, সর্বত্রই এখন কিশোর গ্যাং কালচার ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনীতির বড়ভাইদের প্রশ্রয়ে এরা টিকে থাকে। এদের দাপট আর মোটরসাইকেলের শব্দে কিশোরী ছাত্রীদের আজ ভয়ে জড়সড়ো হয়ে থাকতে হয়।

পুলিশ প্রশাসনের উচিত দেশব্যাপী এই কিশোরদের তালিকা তৈরি করা। এদের কারও গতিবিধি সন্দেহজনক হলেই তাকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যাওয়া। গার্লস স্কুলের ক্লাস শুরু এবং ছুটির পর এরা যেন ওই এলাকায় আড্ডা দিতে না পারে বা মোটরসাইকেলে শোডাউন করতে না পারে, সে বিষয়ে দেখভাল করা। রাজধানীতে এদের দাপট এতটাই বেড়ে গেছে, পুলিশ এদের প্রতি হার্ডলাইনে না গিয়ে আর পারেনি। হাতিরঝিল থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ গ্যাং গ্রুপে জড়িত শতাধিক কিশোর সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। পরে অভিভাবকদের সতর্ক করে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

স্কুল হল একটি আনন্দের জায়গা। এ আনন্দ হল জানার আনন্দ। শেখার আনন্দ। স্বপ্ন দেখার আনন্দ। নিজের ভবিষ্যৎ ফাউন্ডেশন তৈরির আনন্দ। বিদ্যা অর্জনের আনন্দ। সে জন্য স্কুলকে বলা হয় বিদ্যালয়। আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, স্কুলছাত্রীরা আজ আর স্কুলকে আনন্দের জায়গা মনে করতে পারছে না। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথকে নিরাপদ মনে করতে পারছে না। স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও নিরাপদ অভিভাবক ভাবতে পারছে না। কারণ, স্কুল-মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকই আজ রক্ষকের পরিবর্তে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। রাতারাতি এ অবস্থার পরিবর্তন করা যাবে না।

এ জন্য স্কুল শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবতে হবে। সামাজিক পরিবেশ ও রাজনৈতিক স্বাভাবিকতা সৃষ্টির কথা ভাবতে হবে। তা না হলে দেশ পিছিয়ে পড়বে। সরকার নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে; নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে বলে দাবি করছে। সে কারণে সরকারকে স্কুলবালিকাদের লেখাপড়া নিরাপদ করতে হবে। অসৎ শিক্ষক ও বখাটেদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। স্কুলগুলোয় বিদ্যালয়ের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

স্কুলবালিকারা যেন নিরাপত্তার সঙ্গে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশে বালিকারা যেন সানন্দে বিদ্যা অর্জন করতে পারে, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে হবে। এক কথায় সরকারকে স্কুলগুলোয় শিক্ষার্থীদের সম্ভ্রম বজায় রেখে নিরাপত্তার সঙ্গে জ্ঞান অর্জনের বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে হবে।

লেখক: ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার
অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh