ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৩৮ এএম
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত বিছানাকান্দির অপরূপ রূপ। ছবি: সংগৃহীত
যেখানে হাঁটতে গেলে দেখা মেলে পাথরের, সবুজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে পাহাড়, তার নাম বিছানাকান্দি। এখানে বর্ষার যৌবন দারুণভাবে উপভোগ করা যায়। চমৎকার এই স্থানটি বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত।
বিছানাকান্দি হলো পাথর কোয়েরি। এখানে নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের বর্ডার এলাকায় অবস্থিত বলে, দূর থেকে ভারতের পতাকা দেখা যায়। ভারতের জলপ্রপাতের দেখাও মেলে। সেই জলপ্রপাতের পানি বিছানাকান্দি পর্যন্ত আসে।
পাথরের ওপর দিয়ে বয়ে আসা পানি বিছানাকান্দিতে চমৎকার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যা দেখলে যেকেউ মুগ্ধ হবে।
পাথর, পাহাড় ও পানি নিয়েই বিছানাকান্দি। মাথার উপরের বিশাল আকাশ যেন এর ছাদ। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে পর্যটকদের মনে প্রশান্তির ঝর্ণাধারা নেমে আসবে তা সন্দেহ নেই। নিমিষেই মুছে যাবে শত গ্লানি, দুঃখ ও পরিতাপ। সজীব হয়ে ওঠবে আত্মা। প্রকৃতির রূপ ও মাধুর্যের কাছে নাগরিক সভ্যতা যেন কিছুই নয়, এই সত্যটুকু উপলব্ধি করা যায় এখান থেকে।
ঝর্ণার উচ্ছ্বাস, নদীর শীতল পানিতে গা ভেজানো, পাথর উত্তোলন দেখা, পাহাড়ের বুকে হেঁটে চলার জন্য হলেও আপনাকে বিছানাকান্দি যেতে হবে। পাহাড়ের উপর দিয়ে ভেসে যাওয়া নীল সাদা মেঘকেও দেখতে পারবেন এখান থেকে। এখানে ভ্রমণে গেলে আপনার অতিরিক্ত খরচ হবে না। তবে যেকোনো অপরিচিত স্থানে গেলে দামদর করে যানবাহনে ওঠা এবং খাবার খাওয়া উচিত।
যেভাবে যাবেন
প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট যেতে হবে। ট্রেন অথবা বাসে যেতে পারবেন। সিলেট থেকে নগরীর অম্বরখান পয়েন্ট যেতে হবে। সেখানে সিএনজি পাওয়া যায়। সিএনজি করে গোয়াইনঘাট হয়ে হাদার বাজার নামতে হবে। এখানের রাস্তা খুবই খারাপ।
হাদার বাজার থেকে নৌকায় করে বিছানাকান্দি যাওয়া যায়। নৌকা পথে দূরত্ব কম কিন্তু ভাড়া বেশি। রিজার্ভ নৌকা নিয়ে আপনারা বিছানাকান্দিতে যেতে পারবেন। অন্য যেকোনো ঋতুতেও যাওয়া গেলেও, বিছাকান্দি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল। বর্ষায় বিছানাকান্দিতে গেলে সঙ্গে ছাতা, রেইনকোট নিতে ভুলবেন না। বিছানাকান্দিতে খুব ভাল হোটেল নেই। তাই সিলেটে থাকাই ভালো। সিলেট থেকে সকাল সকাল রওয়ানা দিলে দিনের মধ্যেই ফিরে আসা যাবে।