ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৩ এএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৫২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে জন বোল্টনকে সরিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তালেবান প্রতিনিধিদের যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে বিভাজনের খবরের মধ্যে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হল।
বোল্টনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন ট্রাম্প। আগামী সপ্তাহে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, জন বোল্টনের মতের সঙ্গে তিনি ‘পুরোপুরি দ্বিমত’ পোষণ করেন। এ জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বোল্টন ছিলেন ট্রাম্পের তৃতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে তিনি এই পদে ছিলেন। তার আগে এই পদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে মাইকেল ফ্লিন ও এইচআর ম্যাকমাস্টারকে।
ট্রাম্প টুইটারে লেখেন, ‘গত রাতে আমি জন বোল্টনকে বলেছি যে, তাকে আর হোয়াইট হাউসে প্রয়োজন নেই। প্রশাসনের অনেকের মতো আমিও বোল্টনের অনেক পরামর্শে তীব্র আপত্তি জানিয়েছি। সে কারণে আমি নিজেই জনকে ইস্তফা দিতে বলি। জন সেইমতো সকালেই পদত্যাগ করেন।'
ট্রাম্পের বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বোল্টন এক টুইটে বলেছেন, সোমবার রাতেই তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ট্রাম্পের কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্প সে সময় তাঁকে জানিয়েছিলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা মঙ্গলবার আলোচনা করতে পারি।’
তালেবানের সঙ্গে ট্রাম্পের শান্তিচুক্তি বিষয়ক আলোচনার বরাবরই বিরোধী ছিলেন বোল্টন। গত রোববার ওই আলোচনায় হওয়ার কথা ছিল। তবে ট্রাম্প আকস্মিক ওই বৈঠক বাতিল করেন।
উত্তর কোরিয়া ও আফগানিস্তান বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন জন বোল্টন। গত বছর ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ট্রাম্পের অবস্থান সমর্থন করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে এসেছিলেন তিনি। এরমধ্যে মতবিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বোল্টন নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সম্পর্ক অনেকটা শত্রুতায় রূপ নেয় বলে হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। -বিবিস, এএফপি ও সিএনএন