ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৩৮ পিএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:৪৯ এএম
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি: বিবিসি
ব্রিটিশ পালার্মেন্টের এমপিরা আরো একবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। এরইমধ্যে আজ মঙ্গলবার থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কার্যক্রম পাঁচ সপ্তাহের জন্য মুলতুবি হয়ে গেছে।
পার্লামেন্টে সোমবার রাতে জনসনের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ২৯৩ জন এমপি, কিন্তু প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে সোমবার সকালে বিরোধীদল লেবার, এসএনপি, লিবরাল ডেমোক্রেটস, গ্রিন পার্টি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রুপ ফর চেঞ্জ ও প্লাইড কামরি দলের এমপিরা বৈঠক করে ১৫ অক্টোবরের আগাম নির্বাচনের প্রতি সমর্থন না জানানোর বিষয়ে একমত হন। চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে একটি আইনের ওপর জোর দিয়ে সেটি বাস্তবায়নের দাবি তোলেন তারা। এই আইন অবজ্ঞা করলে জনসনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তারা।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, ব্রাসেলসের সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তি হোক বা না হোক দেশটির ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের কথা ছিল। কিন্তু সোমবার রাজকীয় সম্মতি পাওয়া নতুন আইন অনুযায়ী তা পরিবর্তিত হয়েছে, এখন ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এমপিরা চুক্তিসহ বা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিষয়ে অনুমোদন না দিলে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট পেছানোর আবেদন জানাতে বাধ্য হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, ‘পার্লামেন্ট বন্ধ থাকার সময়টিকে ইইউয়ের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর কাজে ব্যবহার করবে সরকার। একইসঙ্গে চুক্তি ছাড়া ইইউ ত্যাগের বিষয়েও প্রস্তুতি নেয়া হবে। এই পার্লামেন্ট আমার হাত বেঁধে দেয়ার জন্য যত চেষ্টাই করুক না কেন, জাতির স্বার্থে আমি একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার ব্রেক্সিট কার্যকরে আর বিলম্ব করতে চায় না। আমরা চাই না যে, ব্রেক্সিট নিয়ে জনগণের দেয়া জোরালো রায় হিসাব-নিকাশের স্রোতে মুখ থুবড়ে পড়ুক।’
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর হাউস অব কমন্সে ১৫ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব তুলেছিলেন জনসন, কিন্তু প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় সেটাও নাকচ হয়েছিল।