খাবার টেবিলের নন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:০১ এএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:০৫ এএম

নান্দনিক খাবার টেবিল। ছবি: সংগৃহীত

নান্দনিক খাবার টেবিল। ছবি: সংগৃহীত

খাবার টেবিল খাবার ঘরের প্রাণকেন্দ্র । প্রচণ্ড ক্ষুধা পেলে খাবার টেবিলের সাজের চেয়েও মুখ্য হয়ে ওঠে ভুরিভোজ। উৎসব অনুষ্ঠানে বাড়িতে অতিথি এলে আপ্যায়নের ত্রুটি করা যায় না। তখন খাবার টেবিলের সাজসজ্জা মুখ্য হয়ে ওঠে।

প্রবাদে আছে, ‘আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী’। খাবার কত সুস্বাদু হয়েছে তার চেয়েও মুখ্য বিষয় খাবার টেবিলের সাজসজ্জা কত সুন্দর। খাবার টেবিল যত গোছালো, সুন্দর ও আকর্ষণীয় হবে খেতে তত ভাল লাগবে। আকর্ষণীয় খাবার টেবিল গৃহের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যক্তির রুচিশীলতাকে প্রকাশ করে।  

খাবার টেবিলের সাজসজ্জা টেবিলের ধরণ অনুযায়ী হলে ভালো হয়। টেবিলের ধরণ ও আকৃতি অনুযায়ী রানার, ম্যাট, চামচ হোল্ডার, টিস্যু হোল্ডার, লবণদানি, ফুলদানি রাখা যেতে পারে। 

খাবার টেবিলের নান্দনিক সাজ সম্পর্কে জানুন:  

টেবিল ক্লথ

খাবার টেবিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আকর্ষণীয় ও রুচিশীল টেবিল ক্লথ নির্বাচন করতে হবে। বাজারে পিছ বা গজ আকারে টেবিল ক্লথ পাওয়া যায়। অনেক ক্লথে ফুল, পাখি সহ বিভিন্ন নকশা আঁকা থাকে। টেবিলের উপর বিছানোর জন্য সুতি কাপড় বাজারে অহরহ রয়েছে সেখান থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাপড় বেছে নিতে পারবেন। আপনার বাসায় যদি ছোট বাচ্চা থাকে তাহলে ফল আঁকা টেবিল ক্লথ কিনতে পারেন। 

ন্যাপকিন

খাবার টেবিলের জন্য ন্যাপকিন বেছে নিতে হবে উদ্দেশ্য অনুযায়ী। টেবিলের ম্যাটের সঙ্গে মিলিয়ে ন্যাপকিন নির্বাচন করতে পারেন। চাইলে প্রতিজনের জন্য আলাদা আলাদা ন্যাপকিন বরাদ্দ করতে পারেন। রাতের খাবারের জন্য ২২ ইঞ্চি, দুপুরের জন্য ২০ ইঞ্চি, সকালের নাস্তার  জন্য ১৮-২০ ইঞ্চি ন্যাপকিন কিনতে পারেন।

টেবিল ম্যাট

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ম্যাট যেমন প্লাস্টিক, বাঁশ, রাবার, ফাইবার, কাপড় ও পাটের ছোট, মাঝারি, বড় বিভিন্ন ধরনের ম্যাট পাওয়া যায়। ম্যাটগুলো গোল, চারকোণা আকৃতির, ত্রিকোণাকৃতির এমনকি ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে। উৎসবে টেবিল ম্যাট পরিবর্তন করে অতিথিদের তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। টেবিল ম্যাট পরিবর্তন করে রাজকীয় ভাব নিয়ে আসতে পারেন। এই ম্যাটগুলো বাজারে সেট হিসেবে বিক্রি হয়। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী সেরাটি বেছে নিতে পারেন। 

ফলের ঝুড়ি

খাবার টেবিলের সৌন্দর্য বাড়ায় ফলের ঝুড়ি। তবে ফলের ঝুড়ি নির্বাচনের ক্ষেত্রে টেবিলের আকারের দিকটি বিবেচনায় রাখতে হবে। ডিম্বাকৃতির টেবিল হলে চামচস্ট্যান্ড, ফলের ঝুড়ি, মোমদানি গুচ্ছ করে রাখলে সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। টেবিল আয়তাকার হলে সারিবদ্ধ করে রাখা যেতে পারে।

রানার

খাবার টেবিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করতে পারেন রানার। রানার কাপড়, পাট ও রাবারের হয়ে থাকে। এছাড়া লাল, নীল, সবুজ ও হলুদ রঙের বিভিন্ন নকশা করা রানার বাজারে পাওয়া যায়।

গ্লাস ঢাকনা

বাজারে ফুল ও বিভিন্ন নকশা সংবলিত গ্লাস ঢাকনা পাওয়া যায়। নিজের রুচি অনুযায়ী বড় আকৃতির অথবা ছোট আকৃতির কাঁচ, ছাচ ও কাঠের ঢাকনা কিনতে পারেন।

গ্লাস স্ট্যান্ড

গ্লাস স্ট্যান্ডগুলো স্টিল ও কাঠের হয়ে থাকে। কাঠের স্ট্যান্ডগুলো বিভিন্ন রঙের হয়। কোনো স্ট্যান্ডে ৬টি আবার কোনো স্ট্যান্ডে ১২টি গ্লাস রাখা যায়। 

চামচ স্ট্যান্ড

চামচের সাথেই চামচ স্ট্যান্ড পাওয়া যায়। কোন কোন চামচ স্ট্যান্ডে শুধু চামচ রাখা যায় আবার কোন কোন চামচ স্ট্যান্ডে ছুরিসহ চামচ রাখা যায়।

প্লেট স্ট্যান্ড

মনের মতো সাজিয়ে প্লেট স্ট্যান্ডে প্লেট রাখা যায়। প্লেট স্ট্যান্ড স্টীল, কাঠ বা প্লাস্টিকের হয়ে থাকে। প্লেট স্ট্যান্ড বিভিন্ন আকারের হয়। আকার অনুযায়ী প্লেট স্ট্যান্ডে কম বেশি প্লেট সাজানো যায়। 

সুগন্ধি মোম

খাবার টেবিলে গ্লাস স্ট্যান্ড, প্লেট স্ট্যান্ড, চামচ স্ট্যান্ড রাখার পাশাপাশি কিছু সুগন্ধি মোমও রাখতে পারেন যা আপনার খাবার টেবিলকে বাড়তি সৌন্দর্য প্রদান করবে। সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি মোমগুলো কাজেও আসতে পারে।

ফুলদানি

খাবার টেবিলের মাঝখানে একটি ফুলদানি টেবিলের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিবে। তাই টেবিলের আকার অনুযায়ী রাখতে পারেন কিছু তাজা ফুল সহ একটি ফুলদানি। তাজা ফুল সুবাসিত করবে চারপাশ যা মনোরম পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

টিস্যু বক্স

বাজারে বাঁশ, বেত, স্টীল ও কাঠের টিস্যু বক্স পাওয়া যায়। প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি শোভা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে টিস্যু বক্স। ভোজন রসিকদের কাছে সর্বদাই খাওয়া দাওয়া তৃপ্তির হয়। তবে খাবার টেবিলটা যদি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয় তাহলে প্রশান্তি ভরে খাওয়া যাবে। অতিথি আপ্যায়নে, পারিবারিক আড্ডায় সুন্দর খাবার টেবিলের জুড়ি নেই। তাই আপনার খাবার টেবিলকে সুন্দর ও রুচিশীল রাখুন। 


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh