প্রতিনিধি, নোয়াখালী
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৩৪ পিএম
নোয়াখালী জেলার মানচিত্র
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ওসির সমঝোতায় গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর সঙ্গে এক অভিযুক্তের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে সাংবাদিক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র ও মেয়েটির স্বজন জানান, উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী গ্রামের ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সুবাদে বুধবার রাতে মোবাইল ফোনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফরহাদ ওই কিশোরীকে তাঁর বাড়িতে আসতে বলেন। কিশোরী সরল বিশ্বাসে চলে আসে। পরে তাকে বাড়ির পাশের সুপারি বাগানে নিয়ে গিয়ে ফরহাদ তার বন্ধু সবুজ, নোমান, তানজিদ হোসেন ও লিমনসহ ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে রাত ৩টার দিকে কিশোরী বাগান থেকে বের হয়ে ফরহাদের বাড়ি গিয়ে উপস্থিত হলে এলাকাবাসী জড়ো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয় এবং ফরহাদকে আটক করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা থানায় লিখিত আবেদন দিলেও ওসি আবদুস সামাদ তা মামলা হিসেবে না নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করে বিয়ের শর্তে ফরহাদকে ছেড়ে দেন। পরে বিয়ের আয়োজনের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পেরে নোয়াখালী পুলিশ সুপারকে অবহিত করে।
এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিয়ের আয়োজন থেকেই ওসি ফের ফরহাদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং ধর্ষিতার পরিবারের দেওয়া এজাহারটি গ্রহণ করেন।
বিয়ের আয়োজনের বিষয়টি সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ অস্বীকার করে বলেন, ধর্ষক ফরহাদকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বিয়ের আয়োজনের বিষয়টি সত্য নয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি দাবি করেন।