ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:৩০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। এ সময় ব্যক্তি সহজে মলত্যাগ করতে সক্ষম হয় না। যেকোনো বয়সের মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, কেউ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করার পরও, প্রতি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করে, তখনই এই অবস্থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অনিদ্রা ও কায়িক শ্রমের অভাবে হজমের সমস্যা হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য আপাতদৃষ্টিতে খুব সহজ ও সাধারণ মনে হলেও এটি ভয়ানকও হতে পারে। তবে সচেতন থাকলে তা প্রতিরোধ করা যায় খুব সহজে। মেনে চলা প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস।
বোল্ডস্কাই এর এক প্রতিবেদনে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করার কিছু উপায় সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আঁশযুক্ত খাবার
আঁশযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায়। শাকসবজি, ফলমূল ও গোটা শস্যে প্রচুর আঁশ রয়েছে। তাই বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খান।
পাকা কলা
পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য সহজে দূর করতে পারে। এটি অনেক আগে থেকেই পরীক্ষিত। পাকা কলায় রয়েছে প্রচুর আঁশ। কলার আঁশ শরীরের বৃহৎ অন্ত্র থেকে পানি শোষণ করে। এতে মল নরম হয়। পাকা কলা হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আপেল
আপেলে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় প্রচুর আঁশ থাকে। দ্রবণীয় আঁশ পেকটিন হিসেবে পরিচিত। পেকটিন খাবার দ্রুত হজম করে অপ্রয়োজনীয় অংশ মল হিসেবে বের করে দিতে সাহায্য করে। অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়া তৈরিতেও ভূমিকা রাখে আপেল।
লেবু
লেবু হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা উপাদান হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। এটি পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান। দারুণ উপকার পাবেন।
মধু
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে মধু খুব উপকারী। দিনে তিনবার দুই চা চামচ করে মধু খেলে উপকার পাওয়া যায়। এক গ্লাস গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। কিছু দিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমে যাবে।
পালংশাক
পালং শাকের উপকারিতা অনেক। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও দারুণ কার্যকরী। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তাহলে পালং শাক খাওয়া শুরু করুন। দারুণ উপকার পাবেন।