করোনাকালেও বেড়েছে কসমেটিক সার্জারি

করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির এ সময়ে অফিসে না যাওয়া এবং মাস্ক ব্যবহারে মুখ লুকিয়ে রাখার সুযোগে কসমেটিক সার্জারির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কভিড-১৯ টেস্ট এবং ঘন ঘন পরিষ্কার করার মতো কঠোর পদক্ষেপগুলোর সহায়তায় প্লাস্টিক সার্জারি ক্লিনিকগুলো খোলা রাখা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে ঠোঁট ফিলার বোটক্স, পেস লিফট ও নোজ জবসের মতো সেবা নিতে আগত রোগীদের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ঠোঁট ফিলার ও গালের চর্বি অপসারণকারী অ্যারন হার্নান্দেজ বিবিসিকে বলেছেন, লকডাউনের কারণে সামাজিকভাবে আলাদা থাকাকালে আমি এ কাজ চালিয়ে গেছি। ঠোঁট ফিলার করা সবার পছন্দনীয় নয়, তাই কিছু মানুষের কাছে এটি অন্য রকম মনে হতে পারে। তাই বাড়িতে থাকতে, পুরোপুরি সেরে উঠতে এবং বাইরে বের হলেও মাস্কের কারণে ঠোঁটের বিষয়ে কেউ বুঝতে পারছে না। এজন্য মহামারির সময় এ কাজগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে।

টেক্সাসের একজন কসমেটিক সার্জন রড জে রোরিস বলেন, মহামারির সময় আমি অনেক বেশি রোগী দেখেছি। এমনকি স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও এটা অনেক বেশি ছিলো। 

সার্জারির কথা বিবেচনা করার সময় বাড়িতে থেকেই পুরোপুরি সেরে ওঠা নিয়ে রোগীদের চিন্তায় থাকতে হয়। সেই অবস্থায় মানুষজন বাইরে যেতে ইতস্তত বোধ করে। কিন্তু এখন যেহেতু বাড়ি থেকেই কাজ করতে হচ্ছে, সুতরাং এটা বিবেচনা করা লাগছে না। 

এমনিতেই বেশির ভাগ সময় বাড়িতে থাকতে হচ্ছে এবং বাইরে গেলেও মাস্ক ব্যবহার করায় কেউ দেখতেও পাচ্ছে না। তাই এই সময় অনেকেই কসমেটিক সার্জারি করে নিচ্ছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //