শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে ব্যর্থতার দায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের

শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম একটি বৃহত্তর পেশাজীবী আন্দোলন হওয়ার পরেও অধিকার আদায়ে বেসরকারি শিক্ষকগণ অনেক পিছিয়ে আছে। এক সময় বেসরকারি শিক্ষকদের সংগঠনের নেতারা নিঃস্বার্থভাবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলো। যেমন- জমিয়েতুল মেদারেসিন সভাপতি মাওলানা মান্নান, শিক্ষক নেতা কামারুজ্জামান, শরিফুল ভুঁইয়া, শহিদুল্লাহ স্যার, চট্টগ্রামের মেসবাহ স্যার, আবু তাহের চৌধুরী। আন্দোলনের মাঠে বেসরকারি শিক্ষকদের অধিকার সুরক্ষার জন্য তাদের অবদান অবিস্মরণীয়। 

আমরা বর্তমানে যেসব শিক্ষকনেতা দেখি, তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ রক্ষার কাজ করছেন। সাধারণ শিক্ষকদের জন্য চিন্তা করার কোনো সময় তাদের হাতে নেই। শ্রদ্ধা করার মতো শিক্ষকনেতা খুব কম, যাদের ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বে শিক্ষকরা। এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নেতৃত্ব। 

সাধারণ শিক্ষকগণ স্বভাবতই মনে করতে পারেন, যে লোকের চাকরি নেই তার কাছে শিক্ষা জাতীয়করণে কী আসে যায়? বেসরকারি শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেলে অবসর প্রাপ্তদের কী লাভ-ক্ষতি? অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকনেতারা নিজেও বুঝতে চেষ্টা করেন না তাদের নেতৃত্বের প্রতি সাধারণ শিক্ষকরা সন্তুষ্ট না। 

দাবি আদায়ে আন্দোলনে প্রাণ আনতে হলে একটাই সমাধান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেতাদের নেতৃত্ব থেকে অবসর নিতে হবে। নেতারা স্ব স্ব সংগঠনের উপদেষ্টা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন। মূল নেতৃত্ব সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে সাংগঠনিক সৎ ও যোগ্যদের হাতে আসতে হবে। তাহলে বেসরকারি শিক্ষকদের বৃহত্তর পেশাজীবী আন্দোলন প্রাণ খুঁজে পাবে।

লেখক: সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন,
সহকারী অধ্যাপক।
বাকলিয়া শহিদ এন এম এম জে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চট্টগ্রাম।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //