আজাদ কাশ্মীর ভারতেরই: জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সর্বদাই ভারতের অংশ। আমরা আশা করি যে এক দিন তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজাদ কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছে পাকিস্তান।

পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ভারতের এই অবস্থান নতুন নয়। এমনো নয় যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এ নিয়ে বাড়তি কোনো কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে দিল্লি পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে একাধিক বার কড়া বার্তা দিয়েছে। জয়শঙ্করের মঙ্গলবার দেয়া এ বার্তা পরিস্থিতিকে আরো কিছুটা উত্তপ্ত করে তুলল বলেই মনে করা হচ্ছে।   

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। তিনি গত দেড় মাস কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতবিরোধী প্রচার চালানোর চেষ্টা করে চলেছেন। 

আসন্ন বৈঠকটিতেও যে ভারত-পাক সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হতে পারে তার আভাস দিয়ে জয়শঙ্কর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সার্কের এই অধোগতি কার জন্য ঘটেছে সেটা সংশ্লিষ্ট সব দেশই জানে। সার্কের প্রয়োজন ছিল আঞ্চলিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও সংযোগ। সন্ত্রাসবাদ নয়।’ 

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে না চেয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘কমনওয়েলথ বৈঠকেও আমরা একটি ঘরেই ছিলাম। এখানেও যখন বৈঠক হবে দেখা যাবে।’ 

আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানকে এক টেবিলে বসানোর। নিউইয়র্কে কি সেই চাপের জেরে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পার্শ্ববৈঠকে বসতে দেখা যাবে?  নেতিবাচক ইঙ্গিত করে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘দু’দেশের সম্পর্ক এখন কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সেটা দেখুন। আজাদ কাশ্মীর সম্পর্কে আমাদের অবস্থান বরাবরই সুস্পষ্ট ছিল এবং সব সময় তা অবিচল থাকবে। আজাদ কাশ্মীর ভারতের অংশ এবং আমরা আশা করছি, এ অঞ্চলের ওপর আমাদের পূর্ণ এখতিয়ার থাকবে।’

কাশ্মীর নিয়ে কোনো আলোচনাতেই যে ভারত যেতে নারাজ সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘প্রথমে সন্ত্রাস নিয়ে কথা হোক। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা পরে হবে। এমন আর কোনো দেশ কি আছে যারা প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সন্ত্রাসে মদত দেওয়াকেই তাদের পররাষ্ট্রনীতি করে নিয়েছে? কোনো দেশ কি এটা সহ্য করবে? পাকিস্তানের আচরণ বিকৃত।’ -আনন্দবাজার পত্রিকা


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //