কোয়ারেন্টিনে দেখার মতো সেরা কিছু সিনেমা

দেশে চলছে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন। করোনাভাইরাসের কারণে ঘরের বাইরে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সারাদিন ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকেই।

কোয়ারেন্টিন ও ছুটির এই দিনগুলোকে আনন্দময় করে তুলতে কালজয়ী ও সেরা কিছু হলিউড সিনেমা দেখতে পারেন। এই সিনেমাগুলোর আবেদন কখনোই শেষ হবে না। একবার নয়, বারবার দেখলেও বিরক্ত লাগবে না। 

কালজয়ী হলিউড সিনেমগুলো হলো:

দ্য গডফাদার (১৯৭২)

ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ‘দ্য গডফাদার’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন মারলন ব্রান্ডো ও আল পাচিনো।  মারিও পুজোর একই নামের বেস্ট-সেলিং উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন কোপলা ও পুজো। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন আলবার্ট এস. রুডি। এতে মার্লোন ব্র্যান্ডো ও আল পাচিনো নিউ ইয়র্কের একটি মাফিয়া পরিবারের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

দ্য ম্যাট্রিক্স (১৯৯৯)

সর্বকালের অন্যতম সেরা একটি সাইন্স ফিকশন হলো ‘দ্য ম্যাট্রিক্স’। মূল চরিত্রে কিনু রিভস অভিনীত সিনেমাটি বিশ্বের দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো, ভবিষ্যতের বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ও অ্যাকশন কী রকম হবে। 

এখানে চিত্রিত করা হয়েছে এমন একটি ভবিষ্যতকে যেখানে মানুষ যে বাস্তবতাকে ধারণ করে সেটি আসলে একটি নকল বাস্তবতা যার নাম ম্যাট্রিক্স, যেটি তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্ররা মানুষের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং মানুষের শরীরের তাপীয় এবং বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকে তাদের শক্তির উত্স হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।

টাইটানিক (১৯৯৭)

জেমস ক্যামেরনের ‘টাইটানিক’ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর অন্যতম। আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক জাহাজে এক প্রেমিক জুটির কাহিনি ঘিরে নির্মিত সিনেমাটি এখনো দর্শকের চোখে ভাসে। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট অভিনীত সিনেমাটি আরেকবার দেখে নিতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে দর্শকদের।

দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন (১৯৯৪)

টিম রবিনস ও মরগান ফ্রিম্যান অভিনীত ‘দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন’কে সর্বকালের অন্যতম সেরা প্রভাববিস্তারকারী সিনেমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিনেমাটির গল্পে জেলে বন্দি দুই বন্ধুর অনবদ্য দিনযাপন ও সুখের একটি সমাপ্তির আশায় তাদের প্রচেষ্টা দর্শকের চোখকে ভেজাবেই।

সাইকো (১৯৬০)

সাইকো বিখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক আলফ্রেড হিচকক পরিচালিত একটি সাসপেন্স থ্রিলার, হরর এবং মনোজাগতিক জটিলতা ও বিকৃতিধর্মী চলচ্চিত্র। ১৯৬০ সালে এটি মুক্তি পেয়েছিলো। মানসিক বিকৃতিতে আক্রান্ত এক খুনীকে ঘিরে এর কাহিনী নির্মিত হয়েছে। রবার্ট ব্লখের উপন্যাস সাইকো অবলম্বনে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

আলফ্রেড হিচককের কোনো সিনেমা যদি আপনি না দেখে থাকেন, তবে ক্রাইম-থ্রিলার সিনেমাটি দেখে নিতে পারেন। 

দ্য শাইনিং (১৯৮০)

স্ট্যানলি কুবরিক পরিচালিত ভৌতিক চলচ্চিত্র যা ১৯৮০ সালে মুক্তি পায়। স্টিফেন কিংয়ের একই নামের উপন্যাস থেকে এই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। চিত্রনাট্য লিখেছেন যৌথভাবে স্ট্যানলি কুবরিক ও ডায়ান জনসন।

ট্যাক্সি ড্রাইভার (১৯৭৬)

হলিউডের কিংবদন্তি পরিচালক মার্টিন স্করসেজির এই সিনেমা এখনো মানুষকে মুগ্ধ করে। এটি একটি নাট্য চলচ্চিত্র। ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবার্ট ডি নিরো। 

পাল্প ফিকশন (১৯৯৪)

কুয়েন্টিন টারান্টিনোর বিখ্যাত একটি সিনেমা ‘পাল্প ফিকশন’। গল্প বলা ও সিনেমা নির্মাণের ধারণাই বদলে দেয় এই সিনেমাটি। চলচ্চিত্রটির অনন্য ও নজর কাড়া বৈশিষ্ট্য এর মধ্য রয়েছে ভগ্ন ঘটনাপ্রবাহ,ব্যতিক্রমী চরিত্র-চারণ,পরিহাস আর ব্যঙ্গার্থক অবস্থার চতুর সমন্বয়,চালচিত্র ধারণকারী ক্যমেরার ব্যতিক্রমী ব্যবহার আর অতীতের জনপ্রিয় বিনোদন মূহুর্ত। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //