ঘৃতকুমারী অতি পরিচিত একটি নাম। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে ঘৃতকুমারী নানা অসুখ বিসুখ সারাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিনএ, বি৬ ও বি২। এটি স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্নেও ব্যবহৃত হয়।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডে এর এক প্রতিবেদনে আলোচনা করা হয়েছে ঘৃতকুমারী জেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ
ঘৃতকুমারীর জুস কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। যাঁরা প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভোগেন তাঁরা ঘৃতকুমারীর জুস খেতে পারেন। তবে আপনি যদি প্রথমবার ঘৃতকুমারীর জুস খান তাহলে অল্প পরিমাণে খাবেন। ঘৃতকুমারী হজমে সহায়তা করে। ডায়রিয়া হলেও ঘৃতকুমারী দারুণ উপকার করে।
ভিটামিন সি সরবরাহ
ঘৃতকুমারীর জেলে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। এতে থাকা ভিটামিন সি হৃদরোগ সারায়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। কমলা, কাঁচা মরিচ, ব্রোকলি ও টমেটোর জেলের মতো ঘৃতকুমারীর জেলেও রয়েছে ভিটামিন সি।
শরীরের সতেজতা
সারাদিন যাঁরা তরল পান করে তাদের শরীর হাইড্রেট রাখে। ঘৃতকুমারীর জেল পান করলেও শরীর হাইড্রেট থাকে। তবে ঘৃতকুমারীর জুস পান করলে অল্প চিনি যোগ করতে হবে। অতিরিক্ত চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
মাড়ির রোগ সারাতে
ঘৃতকুমারীর রস মাড়ির রোগ সারাতে সাহায্য করে। দাঁতের দূর্গন্ধ দূর করতেও এটি সাহায্য করে। মাড়ি ও দাঁতে কোনো ইনফেকশন থাকলে তা দূর করে ঘৃতকুমারীর রস। নিয়মিত এর রস খেলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব।
রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে
ক্লিনিকাল ফার্মাসি ও থেরাপিউটিক্স জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘৃতকুমারীতে থাকা বিভিন্ন উপকারি উপাদান টাইপ দুই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। গবেষকরা ৪৭০ জনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।
পাকস্থলীর আলসার দূর
২০১৪ সালের এক গবেষণা থেকে জানা যায় ঘৃতকুমারীর জুস হজমের উন্নতি ঘটায়। সেই সাথে এটি পাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পাকস্থলী ভালো রাখে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh