যেসব অভ্যাসে ওজন বাড়ে

অতিরিক্ত খাবার খেলে সহজেই ওজন বাড়ে। কিন্তু বেড়ে যাওয়া ওজন খুব সহজে কমানো যায় না। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস ও খাদ্যাভ্যাসের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওজন কমানো যায়। তবে অনেকেই ওজন কমাতে গিয়ে বেশ কিছু ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করে।  এগুলো ওজন কমানোর বদলে ওজন বাড়ায়।

জেনে নিন যেসব ভুলের কারণে ডায়েট করেও আপনার ওজন কমছে না তা সম্পর্কে: 

 সকালের খাবার না খাওয়া

ওজন বেড়ে গেছে বলে অনেকে সকালের খাবার খাওয়া বাদ দেন। জেনে রাখা ভালো এই পদ্ধতি সঠিক নয়। গবেষকদের মতে যারা সকালের খাবার খায় না তাদের ওজন কমে না বরং বাড়ে। এছাড়া কোনো এক বেলা না খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। ওজন কমাতে হলে প্রতিবেলা অল্প অল্প করে খেতে হবে। যদি এক বেলা না খেয়ে অন্য এক বেলা বেশি করে খাবার খান তাহলে আপনার ওজন তো বাড়বেই। এতে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

 অন্য কারো ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা

আপনি যদি পুষ্টিবিদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করে অন্য কারো ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা শুরু করেন তাহলে আপনার ওজন সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। অন্য কারো ডায়েট চার্ট অনুসরণ না করে আপনার উচ্চতা, ওজন ও স্বাস্থ্যের সাথে মানানসই হয় এমন চার্ট খুঁজুন। কারণ প্রত্যেকের জীবন গঠন, শারীরিক চাহিদা আলাদা।

 ব্যায়ামের পর অতিরিক্ত খাবার খাওয়া

ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্যালরি খরচ করে এসেই যদি পেট পুরে খাওয়া শুরু করেন তবে কষ্টের পুরোটাই বৃথা যাবে। কারণ, এসময় ক্ষুধা বেশি অনুভূত হয়, ফলে যতটুকু ক্যালরি ঝরিয়েছেন তারও বেশি আবার গ্রহণ করে ফেলতে পারেন। 

 রাতে দেরি করে খাওয়া বা না খাওয়া

অনেকেই রাতের খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে যায়। আবার কেউ কেউ ওজন কমাতে গিয়ে রাতের খাবার খায় না। খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে যাওয়া খারাপ অভ্যাস। খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে গেলে খাবার হজম হয় না। যার ফলে আপনার শরীর মেদবহুল হয়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে ঘুমানোর অন্তত তিন চার ঘন্টা আগে খাবার খেতে হবে। তাহলে ঘুমানোর আগে খাবার হজম হয়ে যাবে এবং আপনার শরীরে মেদ জমবে না।

 না ঘুমানো কিংবা খুব কম ঘুমানো

গবেষকরা মনে করেন রাতে না ঘুমালে কিংবা কম ঘুমালে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। অতিরিক্ত ঘুমালে ওজন বাড়ে। একজন স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক ৬-৭ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তাই রাতে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। 

 পর্যাপ্ত পানি পান না করা

গবেষকরা বলেন প্রতিদিন এক লিটার করে পানি পান করলে এক বছরে দুই কেজি ওজন কমে। পানি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। পর্যাপ্ত পানি ক্যালরী পোড়াতে সাহায্য করে। পানি দ্রুত খাবার হজমে এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়া সঠিক রাখতে সহায়তা করে।

 কোমল পানীয় ও অ্যালকোহল পান

বাজারের কোমল পানীয় ও অ্যালকোহলে প্রচুর কার্বনডাইঅক্সাইড থাকে যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন কমাতে হলে এসব কোমল পানীয়, বেভারেজ, বিয়ার, অ্যালকোহলকে না বলুন। অতিরিক্ত মদ্যপানও ওজন কমার পথে অন্তরায়। এর একটি বড় কারণ হল, অ্যালকোহল নিজেই দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়ায়।

 সারা দিন চেয়ারে বা ডেস্কে বসে থাকা

গবেষকরা বলেন ওজন বাড়ার প্রধান ও অন্যতম কারণ হলো সারাদিন ডেস্কে বা চেয়ারে বসে কাজ করা। চেয়ারে বসে কাজ করলে হাঁটাচলা হয় না। শরীরের ক্যালরি বার্ন হয় না। যার ফলে ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনাকে বিরতি নিতে হবে। হালকা ব্যায়াম করতে হবে এবং হাঁটার অভ্যাস করতে হবে।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //