নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল কাইয়ুম সিকদার (৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে যশোরের বেজপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর শুক্রবার (৫ জুন) সকালে কায়েসকে নড়াগাতি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেন, ইউপি সদস্য হত্যা মামলার আসামি মাহামুদুল হাসান কায়েসকে আজ আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৬ মে রাত পৌনে ৯টার দিকে কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল কাইয়ুম সিকদার ও নড়াগাতি থানা কৃষক লীগের সভাপতি মোল্যা আবুল হাসনাতসহ ৪ জন আরোহী দুই মোটরসাইকেলে কালিয়া থেকে কলাবাড়িয়া গ্রামে বাড়ি ফিরছিলেন।
তারা কালিনগর গ্রামে পৌঁছালে ওঁৎ পেতে থেকে বাঁশ দিয়ে সড়ক আটকে পথরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে সটকে পড়ে সন্ত্রাসীরা। এতে কাইয়ুম সিকদার নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আবুল হাসনাত মোল্যা (৩৮), সজিব মল্লিক (২৫) ও মতিয়ার মল্লিককে (৪০) উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৯ মে রাত ৮টার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে প্রধান আসামি করে ৪৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন নিহত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে নাইমুল ইসলাম মিল্টন। এছাড়া ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ৪৫ আসামির মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে গ্রেফতার করা হলো। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন।
এদিকে মামলার বাদি নাইমুল ইসলাম মিল্টন জানান, তার বাবা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ২০১৩ সালে অবসরে যান। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলের অধিনায়কও ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কলাবাড়িয়া ইউপি থেকে মেম্বার নির্বাচিত হন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh