চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে ম্যানচেস্টার সিটি

ঘরের মাঠে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।

শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের ছাড়পত্র নিলো ইংল্যান্ডের এই ক্লাবটি৷

শনিবার (৮ আগস্ট) শেষ চারে ওঠার লড়াই পেপ গুয়ার্দিয়াওয়ালার ছেলেরা খেলবে লিওঁর বিরুদ্ধে৷ এদিন মাঠের বাইরে লড়াই ছিলো দুই ক্ষুরধার কোচের৷ রিয়ালের কোচ হিসেবে কোনো দিন ইংলিশ প্রিমিয়র লিগের এই এলিট ক্লাবের বিরুদ্ধে জিততে পারেননি জিনেদিন জিদান৷ এবারো পারলেন না৷

ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে হারের পর এদিন জয় ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না জিদানের রিয়াল মাদ্রিদের৷ কিন্তু সেটা হয়নি৷ উল্টো ডিফেন্সিভ খেলতে গিয়ে গুয়ার্দিওয়ালার ম্যান সিটির কাছে হেরে গেলো জিদানের রিয়াল৷

প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-২ হারের পর এদিন ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রিয়ালের কাছে কাজটা ছিলো অনেক কঠিন৷ কিন্তু সিটির আক্রমণের মুখে বেশিরভাগ সময় নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় জিদানের দলকে। সেটাও ভালোভাবে পারেনি তারা। ম্যাচের ৯ মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। গোলটি তাদের একরকম উপহারই দেয় রিয়াল। থিবো কোর্তোয়া লম্বা শট না-নিয়ে বাইলাইনের কাছে রাফায়েল ভারানেকে খুঁজে নেন। ফরাসি ডিফেন্ডারও শট নেননি। শট নিতে বিলম্ব করায় সেই দ্রুত ছুটে গিয়ে বল কেড়ে নেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের কাছ থেকে বল পেয়ে অনায়াসে বল গোলে করেন ছন্দে থাকা স্টার্লিং।

ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে এটি ইংলিশ ফরোয়ার্ডের শততম গোল। পরে আরো একটি গোল হাতছাড়া করেন তিনি৷ ১৯ মিনিটে সবাইকে পিছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন স্টার্লিং। সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক। তবে সিটি ফরোয়ার্ড শট নেয়ার আগেই দারুণ স্লাইডে দলকে বিপদমুক্ত করেন কাসেমিরো। দুই মিনিট পর ডি-বক্সের মাথা থেকে করিম বেনজেমার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন এদেরসন। পরের মিনিটে এদেন আজারের জোরালো শট আটকে দেন সিটি গোলরক্ষক।

ম্যাচের ২৮ মিনিটে সমতা ফেরান বেনজেমা। রডদ্রিগের চমৎকার ক্রসে উঁচুতে লাফিয়ে দারুণ হেডে ম্যান সিটির জালে বল ঢোকাতে সক্ষম হন ফরাসি স্ট্রাইকার। ৪২ মিনিটে ফিল ফোডেনের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইন শট নেয়ার আগের মুহূর্তে বল সরিয়ে নেন দানি কারবাহাল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে স্টার্লিংয়ের সামনে। ৪৮ মিনিটে ডিফেন্স ভেদ করে সামনে থাকা গোলরক্ষককে এড়াতে পারেননি তিনি। কোর্তোয়ার আঙুল ছুঁয়ে বল চলে যায় বাইরে। কর্নার থেকেও সুযোগ আসে সিটির সামনে৷ এবারো রিয়াল গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেনি তারা। একের পর এক আক্রমণে রিয়াল ডিফেন্স কাঁপিয়ে দেয়া সিটি আরো একটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে৷

ম্যাচের ৫৪ মিনিটে কাসেমিরোর ভুলে নিজেদের সীমানায় বল পেয়েও সুযোগ হাতছাড়া করে রিয়ালও। সতীর্থের পা-ঘুরে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান স্টার্লিং। ছুটে এসে কোনওমতে দলকে বাঁচান কোর্তোয়া। ১০ মিনিট পর গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন বেনজেমা। ৬৬ মিনিটে আবারো রিয়ালের ত্রাতা কোর্তোয়া। খুব কাছ থেকে জেসুসের বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।

তবে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এই ডিফেন্ডারের রাতটা কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। তাঁর ভুলে ৬৮ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় সিটি। মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল প্রথমে হেড করতে পারেননি৷ দ্বিতীয়বারে দুর্বল হেড দিয়ে বল দিতে চেয়েছিলেন কিপারকে। কিন্তু ছুটে গিয়ে মাঝপথে বল ধরে জালে পাঠান জেুসস। সেই সঙ্গে ম্যান সিটিকে পৌঁছে দেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে৷

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //