ঢাকা নিয়ে কাউকে ‘ছেলেখেলা’ করতে দেবো না: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমি কোনো ঘটনার তদন্তে বিশ্বাসী নই। যখনই কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হবে, তার সত্যতা পাওয়া গেলেই সাথে সাথে অ্যাকশন। 

ডিএসসিসির ‘মহা পরিকল্পনা’ নিয়ে তিনি বলেন, এই উন্নয়ন হবে সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে, ঢাকা নিয়ে আর কাউকে ‘ছেলেখেলা’ করতে দেবো না।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, মশা থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করেছি। জলাশয়ে হাঁস ও মাছ চাষ শুরু করে দিয়েছি। আশা করি, এর মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মুক্ত করতে পারবো।

তিনি বলেন, শিল্পায়ন ও নাগরিক সুবিধার নামে আমরা এই শহরের নদ-নদীগুলো দখল, দূষণ ও ভরাট করে চলেছি। জলাধারগুলো নিশ্চল-নিথর করতে সম্পন্ন করেছি সকল আয়োজন। যত্রতত্র ফেলছি ময়লা-আবর্জনা, গতি রোধ করছি নর্দমাগুলোর। এভাবে চলতে দেয়া সমীচীন নয়।

অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমরা ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সরকারের কাছে আমাদের নিবেদন থাকবে— ঢাকা কেন্দ্রিক অন্যান্য সংস্থা যদি কোনো প্রকল্প নেয় তারা যেন পুরো বিষয়টি আমাদের সাথে সমন্বয় করেন। ঢাকাকে নিয়ে যেকোনো প্রকল্প আমাদের দেবেন, আমরা তা যথাযথ পালন করবো। ঢাকাকে নিয়ে আর ছেলেখেলা করতে দেয়া হবে না।

মেয়র তাপস বলেন, কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ নেই। কিন্তু আইন অনুযায়ী আমরাই ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর করবো। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবো। পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে আমরাই জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্তি দিতে চাই।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে অন্তর্বর্তীকালীণ বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জায়গা নির্ধারণ করা হলেও নানা জটিলতায় তা আটকে ছিল। আশা করছি এই ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ৩১টি ওয়ার্ডে এসটিএস নির্মাণে সফল হব। পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে এসটিএস নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে আমি ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র থেকে আবর্জনা নিয়ে যাওয়া হবে মাতুয়াইলের ভাগাড়ে (ল্যান্ডফিল)। রাত ৯টা থেকে পরিচ্ছন্নকর্মীরা ঢাকা শহরের রাস্তাগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করবেন। রাস্তাগুলো পরিষ্কার করার পর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে রাস্তায় পানি ছিটানো হবে এবং সকাল ৬টার মধ্যে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে নগরী আমরা ঢাকাবাসীকে উপহার দিতে চাই।

কামরাঙ্গীর চরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এই চরটি একটি দ্বীপ। আমরা উন্নত বিশ্বের মতো এই দ্বীপটিকে সাজাতে পারি।

বাজেট বিষয়ে তিনি বলেন, বাজেটে আমাদের কোনো কর বৃদ্ধি হয়নি। আমাদের আইনে থাকার পরেও যেসব খাত থেকে আগে কোনো রাজস্ব আয় করা হয়নি, আমরা সেগুলোকে প্রয়োগ করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের রাজস্ব বাড়বে।

এরপর মেয়র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ১১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //