বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।

বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, ১৯৫৮ সালে মার্শল ল’ জারি হওয়ার পর আব্বা আলফা ইন্সুরেন্সে চাকরি করতেন। তখন দুই বছর আমার মা সংসারের স্বাদ পেয়েছিলেন। কারণ তখন রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।

বঙ্গমাতার ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার (৮ আগস্ট) নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঠিকভাবে ধারণ করেছিলেন আমার মা। দেশের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। 

তিনি বলেন, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন বঙ্গমাতা। মা পরিবারকে দেখে রেখেছেন। এতে আমার বাবা দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। বঙ্গমাতা অসাধারণ বুদ্ধি, সাহস, মনোবল, সর্বসংহা ও দূরদর্শিতার অধিকারী ছিলেন এবং আমৃত্যু দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।

চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে বঙ্গমাতার নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে দেশের নারীদের তাকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।

একাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, যখন জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো, তখন তিনি সেখানে যেতে চেয়েছিলেন। ঘাতকদের কাছে তিনি জীবন ভিক্ষা চাননি। কিন্তু সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেগম মতিয়া চৌধুরী।

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ প্রান্তে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এক হাজার ৩০০ সেলাই মেশিন, ১০০টি ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার উপকারভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //